এইমাত্র রচিত হল ভিন্ন রূপে ভিন্ন আঙ্গিকে রবি ঠাকুরের "চড়িভাতি" (চড়ুইভাতি) কবিতাটি। চড়ুইভাতি রূপে প্রকাশি দিলাম কবিতাটি।


চড়ুইভাতি


চড়ুইভাতি চড়ুইভাতি শীত পড়েছে জাঁকিয়ে ভাই,
জাগজমকে চাঁকচমকে ডুমরু শিঙ্গা
ফুঁকতে তাই।
পেড়িয়ে নদী পাহাড় টিলা ওই গগনের দূর খোজেতে,
জীবন নদে বান নেমেছে রংবাহারির
আজ দেশেতে।
মাদল বাঁজে আজ মনেতে মুক্ত গগন লহর দিশা,
খুশির প্লাবণ ঢল নেমেহে আজ যে প্রাণে
দারুন নেশা।
মুক্ত মনের ফাল্গুনেতে ভাসিয়ে দিলেম সোনার তরী,
আহা! আহা! আজ লগনে নেশায় মেতে-
আজকে উড়ে ধরতে পরী।
শন শন শন! বন বন বন-বন দেবতার আজকে পূজা,
ও সখী লো ভাসতে আকাশ আজকে
নাতো দশভূজা।
আজ ত্রিশুলে নাইকো লহু বধ নাহিকো অসুর কোনো,
আজকে লহর প্রেমের ডাগর-বন দেবতার
গানটি শোন।
ময়না টিয়া উড়াল দিয়া আজ দখিনা বাতাস ভাসো
চরুইভাতি চরুইভাতি-আজ রমলা
কাছে আসো।
মিষ্টি আদর আজ ভাসিতে মনটা খুলে দাওনা সখী,
ভাসতে আজি সুখ মহলায়-আ_হা!
আজ বুলবুল হওনা পাখি।
চরুইভাতি চরুইভাতি বন মাঝারে রাঁধতে চলো,
রং মহলায় বাঁধতে সখী-আজকে হৃদয়
সাঁনাই ভোল।
আজ আঁছিলায় চুমতে তোমায় ছায়া্ বনের সুখের নীরে,
আজ নেশাতে ভাসতে সখী-ওই নদীরই
বনের তীরে।
পাখ পাখালি ফিরতি পথে নামতে সাঁজ সেই ঘাটেতে,
এটো কূড়ো বাসন তুলে-ফিরবো ঘরে
সেই পটেতে।
বাঁজতে সাঁনাই অনেক জোরে হৃদয় ফাগুন লাল সিঁদুরে,
ভাসতে দারুন স্মৃতির ছোঁয়ায়-আসতে আবার
বছর ঘুরে।


প্রিয় কবি বিশ্বনাথ বন্ধ্যোপাধ্যায় মহাসয়ের আজ প্রকাশিত "জানি কি কী চায়" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


সার


সুভাবনায় জীবন হতে পারে সুন্দর থেকে সুন্দরতম,
বিরাজে সেথায় নির্মল সুশীতল
শান্তির সুধা বায়ু সদা
আনন্দঘন।


খানিকো ধরায় ত্বরায় গড়ায় শৈশব যৌবন
উছলিত লহরিত জোয়ারের গান,  
তারুণ্য সংসারে কাটাকাঁটি কুটিল্য      
বহিতে সে তরী ভাঁটার দারুন
সরণ টান।


ক্ষণিকো জীবনে ধ্বনিত এ প্রাণে
আকাশ ধরিতে চাঁদ,
তপ্ত গরলো বিষাদিত তীব্র নিনাদিত
ঘন ধরা অবসাদ।  


দিকে ফিরি রবে ঘুরি-চাই চাই চাই শুধু চাই,
সোনা রুপা হিরে মোতি-
বিষয়েতে আসয়েতে
স্বপ্নের শেষ
নাই।


স্বপ্নীল পথে ভুলে বহু দোলা শত দুলে দিগন্ত রবি যবে-
শিহরণে প্রাণ ভুলি,
জীবনের কোকোনদে রোদনেতে রোদনেতে
জরাপ্রাণ সুর তুলি।


ফিরে দেখা জীবনেতে শত ভুল আড়পথে,
আড় দেখা ভাবনাতে, বুঝিলাম সার;
লোভেতে লভিতে ক্ষণিকের সুখ
জীবন অসার।


প্রিয় কবি গোপাল চন্দ্র মহাশয়ের আজ প্রকাশিত "শান্তিদেবীর প্রশ্ন" কবিতার উত্তরে কমন্ট বক্সে লেখা গীতি কবিতা।


স্পন্দন


দিকে দিকে সুখঝরা যেন প্রাণ মনোহরা-বেদনা রহিত।
পাখি সবে করে গান চৌদিকে কলতান-হাসে ধরা।
হাসে ধরা হাসে ধরা হাসে ধরা।
মনোরম হার্দিক নির্মল চারিভিত-
দুখ নাই দুখ নাই দুখ নাই-হাসিখুশি ভরা।
সৌরভে দিল তাত শত শত কত হাত-বন্ধন,
বন্ধন বন্ধন বন্ধন। বন্ধন বন্ধন বন্ধন।
সুরভিতে  দিক ভাসে সুরোগানে প্রাণ মাতে-
প্রাণ মাত প্রাণ প্রাণ মাতে।
ক্রন্দন রোল নাই আলোকিত জ্যোছনাই
দিকে দিকে দিকে দিকে
জীবনের স্পন্দন।
দিকে দিকে সুখঝরা যেন প্রাণ মনোহরা-বেদনা রহিত।
পাখি সবে করে গান চৌদিকে কলতান-হাসে ধরা।
উল্লাসে ভরা প্রাণ মানবেরি জয়োগান-
জয়োগান জয়োগান জয়োগান।
তরঙ্গ লহরিত পুষ্পেতে সমাহিত মনোহরা।
হিংসার পল নাই দ্বেষ ভরা হৃদ নাই-কান্না
নাই কোনো কটুকথা হিংসার কতকথা
শত বুকে শত ব্যথা-বেদনা।


প্রিয় কবি কবির সরদার মহাশয়ের গতকাল প্রকাশিত "বিধাতার বিধান" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা কবিতা।


ভিখ


আজিকে ফুলিতে ক্রোধেতে দুলিতে
খুন করি ঈশ্বর,
ভেঙ্গে চুরে ছাড়খার করে দিতে
যা কিছু নশ্বর।


পরাণ কি দিল তাই রজ্জুটা হাতে নিল,
ঈশারাতে ঈশারাতে জ্বলনেতে
প্রাণ দিল।


ভাবি তাই কবিতায় হিলে দুলে শূলে দেব,
জানটাই ঢেলে মেলে-ঈশ্বরে
ভিখ দেব।