Sanjay Karmakar
JlrdoortSoupoley rrttg28neSs aort 3:u52 iorgedPM  ·
"ঈদ"


"ড. শাহানারা মশিউর (চারুলতা কবি)


পবিত্র ঈদের দিনে
আতরের মতো বিলিয়ে দে আপন সুবাস।
বিভেদ বিবাদ ভুলে, প্রাণের প্রাঙ্গণে বিছিয়ে দে,
সমতা ও মমতার শীতল পাটি!


"সঞ্জয় কর্মকার"
"ঈদ"


শাওয়াল মাসে ঈদের চাঁদে আজ যে খুশির দিন
ঈদ পরবে আজ সকাসে মান রে তার ওই ঋণ।
রমজানেতে রোজার মাসে মুক্ত কলুষ তায়
ভোগ আর বিলাস কর রে বিনাশ বিধান তাহার রায়।
কাবিল না হয় হাবিল সবে কুরবানীর আজ দিন
যথায়; স্বপ্নাদেশে পুত্র দানে নিঃস্ব ইব্রাহিম।
আল্লাহ তা'আলা তাই কি সে আর! সে দান কি সে লয়
মায়ায় তাহার সে ধন নহে পশুই জবাই হয়।
আজ যে আগুন আসবে নেমে কুরবানী তোর নিতে
সব গুণাহ মুকুব তথায় ভুলিস না তায় দিতে।


আল কুরআনে হাবিল এবং কাবিলের উল্লেখ পাওয়া যায়।  হাবিল প্রথম মানুষ যে আল্লাহর জন্য একটি পশু কুুরবানী করেন । ইবনে কাসির বর্ণনা করেছেন যে, হাবিল একটি ভেড়া এবং তার ভাই কাবিল তার ফসলের কিছু অংশ স্রষ্টার উদ্দেশ্যে নিবেদন করে। আল্লাহর নির্ধারিত পদ্ধতি ছিল যে আগুন আকাশ থেকে নেমে আসবে এবং গ্রহণযোগ্য কুরবানী গ্রহণ করবে। তদনুসারে, আগুন নেমে আসে এবং হাবিলের জবেহকৃত পশুটির কুরবানী গ্রহণ করে। অন্যদিকে কাবিলের ফসল কুরবানী প্রত্যাখ্যান করে। কাবিল এই ঘটনায় ঈর্ষান্বিত হয় ও সামাজিভাবে অপমানবোধ করে কুরবানী কবুল না হওয়ার বিষয়টিতে তার ভাই হাবিলকে হত্যা করে, যা মানব ইতিহাসের প্রথম হত্যাকাণ্ড হিসেবে পরিচিত। কাবিল তার কৃতকর্মের জন্যে অনুতপ্ত না হওয়ায় আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেননি।


ইসলামের বিভিন্ন বর্ণনা অনুযায়ী, মহান আল্লাহ তা’আলা ইসলামের রাসুল হযরত ইব্রাহীম কে স্বপ্নযোগে তাঁর সবচেয়ে প্রিয় বস্তুটি কুরবানি করার নির্দেশ দেনঃ “তুমি তোমার প্রিয় বস্তু আল্লাহর নামে কোরবানি কর”। ইব্রাহীম স্বপ্নে এ আদেশ পেয়ে ১০টি উট কোরবানি করলেন। পুনরায় তিনি একই স্বপ্ন দেখলেন। ইব্রাহীম আবার ১০০টি উট কোরবানি করেন।এরপরেও তিনি একই স্বপ্ন দেখে ভাবলেন, আমার কাছে তো এ মুহূর্তে প্রিয় পুত্র ইসমাইল (আ.) ছাড়া আর কোনো প্রিয় বস্তু নেই। তখন তিনি পুত্রকে কোরবানির উদ্দেশ্যে আরাফাতের ময়দানের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। যখন ইব্রাহীম আরাফাত পর্বতের উপর তাঁর পুত্রকে কোরবানি দেয়ার জন্য গলদেশে ছুরি চালানোর চেষ্টা করেন, তখন তিনি বিস্মিত হয়ে দেখেন যে তাঁর পুত্রের পরিবর্তে একটি প্রাণী কোরবানি হয়েছে এবং তাঁর পুত্রের কোন ক্ষতি হয়নি। এই ঘটনাকে স্মরণ করে সারা বিশ্বের মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য প্রতি বছর এই দিবসটি ঈদ উল আধহা নামে উদ্‌যাপন করে।