"এতই সুজা"


মরণ কি এতই সুজা চাইলেই ঘর আসে,
নিত্য দাদু বায়স জেমুন, বয়স; একশোর
আশে পাসে।
ধনুক জেমুন বক্র দেহ দেখবার নাই কেহ
এক পা গেলে দু পা পিছায় শীর্ণ তার
ঐ দেহ।
নিত্য দিনেই নিত্য দাদু পথের পাশেই পড়া
দেখলে ভায়া বুঝবে তারে জেমুন
ঘাটের মরা।
পাইলে খায় দিলেই কেহ নইলে ভূখা পেট
তাও খুলেনা উপর বালা তার দুয়ারের
গেট।
তোমারা তো ভায় তাগড়া জুয়ান কতই স্নেহ পাও
হালকা জ্বরেই কাবু সাবু শজ্জা পালঙ্ক
নেও।
স্বজন কূজন গাইতে আসে খুঁজ খবরের ঢল
এতই সুজা মরণ ভায়া, থাকতে ধনের
বল।


"দক্ষিনা"


মানুষ চেনা! শোন রে সোনা শক্ত রে কই বাপ
হীরের মত চাকচিক্যে সব রে কাল
সাপ।
সুজোগ পেলেই ফোঁস করে দেয় কালনাগিনীর বিষ
চিনতে গিয়ে বিষম ধোঁকা বুলবুলি দেয়
শিস।
কলকে কলি কাল চলিছে তপ্ত গরল ভাপ
হিংসার গান করাল কালো শোন রে বলি
বাপ।
মান্য মানী জ্ঞানী গুণী সবাই যারে চেনে
পাঠশালাতে সেই রে বাপু ঈজ্জৎ নেয়
টেনে।
দেশের হোতা দশের নেতা বাপুজির ঐ চ্যালা
সব ব্যাটা চোর ছিছলে ডাকু মাকাল ফলের
ঢেলা।
স্তব্ধ হিয়া নাই রে দিয়া জ্বলছে না আর দীপ
যেই মায়েতে করলো মানুষ, আজ; হোমেই
অন্তরীপ।
চিনায় দিলাম মানুষ জাতি দক্ষিনা কে দেবে!
সেইটা জুদি না দিস ভায়া বাঘেই তোরে
খাবে।