ওরে, ওরে, ফাগুন এসেছে দোরে।
যা ছুটে ওই মেঘের ভেলায়
যেথায় জলধ দোদ্যুল দোলায়,
নীলের দেশের পানে;
ওরে, ওরে যা ছুটে যা;
ওরে যা ছুটে যা;
ওই খানে। ওই খানে।
ওরে, ওরে, ফাগুন এসেছে মনে।


সুপ্ত শিখা উঠলো জেগে
মুকুল ধরা প্রাণ,
জুই মালতী বিতান হরিৎ
বিহগ ধরে গান।
ওরে, ওরে, মন করে
আনচান।  ওরে, মন করে
আনচান।
ওরে, প্রাণ খুলে গা,
ধা তিন ধা, ফাগুনের ওই
গান।


ওরে, ওরে, ফাগুন এসেছে দোরে।
যা ছুটে ওই মেঘের ভেলায়
যেথায় জলধ দোদ্যুল দোলায়,
নীলের দেশের পানে;
ওরে, ওরে যা ছুটে যা;
ওরে যা ছুটে যা;
ওই খানে। ওই খানে।
ওরে ফাগুন এসেছে
মনে।


“পোটলা”


যখন তোমার ফুর্তি মনে আমায় চেপে ধরো
এটা ওটা সেটা নিয়ে; আমার পকেট
ফাঁকা করো।
আমি যখন বাইনা ধরি উঠতে যে চাই গাছে
দূরেই পালাও ভয়েই তুমি; জাপটে
ধরি পাছে।
রাত বিরাতে হুতুম প্যাচা ডাকলে ভয়েই মরো
তাল বাহানা করেই কতো; দূরেই
সরে পরো।
তোমার দিশায় পাগল আমি কান্তা পিশির বাড়ি
এলেই তোমায় পায়েস পোলাও; কতই
আদর করি।
তোমার বাড়ি নিষেধ আমার রাবণ তোমার বাপ
ভয়েই তুমি না না বলো; কাঁমড়ে
দেবে সাপ।
আর না দেরী তাড়াতাড়ি পোটলা বাঁধো তুমি
সিঁদুর দিব তোমায় আজি; পণ
করেছি আমি।


“মুন্ডু”


মন্দার বাজারেতে চাঁদা চায় চাঁন্দু!
পিছে পিছে এক গাদা রয় তার বন্ধু।
সে কী ভায়, ভয়ানক
এমনটা অচানক,
শুনলেই কেঁপে উঠি ঘুরে মাথা মুন্ডু।


“স্বাদ”


বিচ্ছিন্নতার মাঝেই বিবিধতা
নইলে কী বা সুখই বলুন,
দুঃখ শোক বিবাধ কী!
নাক আর নরুন জীবন করুণ
দুধ জ্বালেতে বানায়
ঘি।
তপ্ত লোহা বাঁকতে সহজ
আগুন ঝেলে সোনা;
সুত সুতালি না হলে কী
জাল বাপু যায়
বোনা!
দুঃখ দরদ আগুন যেনো
বিবাদ বিসংবাদ;
এসব বীনে পাই পাবিনে
সুখেরই আ-
স্বাদ।


“অসুধ”(শিশুতোষ লেখা)


এই রে দা, কি হলো গো
চড় চাপড়ির গান,
হুলো বিড়াল কাঁমড় দিলই
নাকী তোমার
কান!
জল জিলেবির প্যাচ প্যাচানী
প্যাচাল কেনই পারো;
আলি কোথায় খুঁজই তারে
তার অসুধেই
চলো।
ডাইনে থেকে বাম দিকেতে
উপর কী বা নিচে;
দেখতে পাবে উল্টা সব ই
নাঁচ গানেতে
বিঁছে।
রাম আর রহিম যুদ্ধ করে
আজ কে দেশে দেশে;
আলির অসুধ খেলেই তুমি
ফেলবে ভালো-
বেসে।
হেঁসেল কী বা হাঁড়ির খবর
গোপন তুমি রেখো;
আজ এসেছি তোমার দ্বারে
পা ধরি দা
দেখো।