“কে তুমি!২য় পর্ব”


কে তুমি!কে তুমি!কে তুমি আসিলে প্রাণেতে
হৃদয় সহসা হরি।
বেদনার তীরে লহরো উছলে
মন্দির দিলে গড়ি।
তোমারি বীণেতে ভাসিলাম প্রাণ
দিব্য শিখার বারি,
কে তুমি! কে তুমি আসিলে প্রাণেতে
হৃদয় সহসা হরি।
গানে গানে সুর দীপ্ত লহরি
ভাসিল অন্তরে,
সে কলি মুক্ত-হলো সে দলেতে
বন্ধ্যা তেপান্তরে।
কে তুমি!কে তুমি!কে তুমি আসিলে প্রাণেতে
হৃদয় সহসা হরি।
বেদনার তীরে লহরো উছলে
মন্দির দিলে গড়ি।
কে তুমি!কে তুমি! কে তুমি স্বপ্নীল শিখা
স্বর্ণকমলো নাথ,
কে তুমি ওগো স্বপ্নচারী
বাড়ায়ে প্রেমের হাত।
কে তুমি!কে তুমি!কে তুমি আসিলে প্রাণেতে
হৃদয় সহসা হরি।
বেদনার তীরে লহরো উছলে
মন্দির দিলে গড়ি।
  
“গ্রীষ্মের গান”


বৈশাখতে আসলো প্রাণ উড়িয়ে পথের ধুলি,
গ্রীষ্ম প্রকট প্রবল বায়ু
ক্লান্ত মানুষ গুলি।
বন বন বন শন শন শন বিজলী কলের তল,
হালকা বসন ভূষণ ধারণ
শীতল জলের ঢল।
দব দব দব দাবদাহে হাঁফিয়ে জগৎ কূল,
লাফিয়ে পারদ চড়ছে উঁচু
প্রাণ করে দুল দুল।
হে ভগবান সৃজন কেন চৈতী হাওয়ার শেষে,
প্রাণ সীমানায় কঠিন কড়া
দিলেই গরম দেশে।
বিস্ময়েতে সৃজন তোমার দিতেই ধরা ওম,
নিখিল ধরা সৃজনপতি
প্রজাপতি ব্যোম।
গ্রীষ্ম প্রাণের মুকুল ধরায় নব্য পথের দিশা,
প্রাণ ধারাতে উষ্ণ বায়ু
জাগায় প্রাণের আশা।
গ্রীষ্ম তোমায় বাসতে ভালো আজ সে আসন ধরি,  
প্রাণ চঞ্চল গ্রীস্ম তোমায়
আজকে সেলাম করি।


“ও খুকি তুই বল”


ওরে ওই বন্ধ্যা আঁচল ওই শিশুপ্রাণ কী দোষ বল
আস্তাকুরে ফেললি ছুড়ে, সহবাসের
করুণ ফল। (2)
সহবাসের করুণ ফল।সহবাসের করুণ ফল।
সেদিন কী'রে ভাবিস নি'রে লিপ্ত হ'লি সঙ্গমে, (2)
শৃঙ্খল ওই ভাঙলি মানব, ভাঙলি রে
তুই সংযমে।
ও খুকি তুই বল, ও খুকি তুই বল,
ছুড়লি যারে আস্তাকুরে
নিথর নির্বল। ও খুকি তুই বল।
ও খুকি তুই বল।
সেদিন ওরে মানলি না'রে বন্ধনেতে সমাজ মাঝে (2),
লিপ্ত হ'লি খেলতে হোলি
রঙ গুলাবির রঙিন
সাঁজে। রঙ গুলাবির রঙিন সাঁজে।
ও ছোরা তুই বল। ও খুকি তুই বল।
ওরে ওই বন্ধ্যা আঁচল ওই শিশুপ্রাণ কী দোষ বল
আস্তাকুরে ফেললি ছুড়ে, সহবাসের
করুণ ফল। (2)
ও খুকি তুই বল, ছুড়লি যারে আস্তাকুরে
নিথর নির্বল।
ও খুকি তুই বল।ও খুকি তুই বল।