“জাগো”


জাগো রে জাগো রে জাগো রে মাতা, ভগ্নী জায়াগ…..ন,
জ্বলছে আগুন দাবা…নলের-লকলকে
গনগ….ন। লকলকে গনগ……..ন।
ধূর্মজালে অযুত নিযুত অশ্রু বারির ধারা……,
জান লুটে নেয়, প্রান কেড়ে নেয়-লম্পট,
পুরুষেরা……। লম্পট,পুরুষেরা………..।
ধরতি মাতার মান কেড়ে নেয়-ধর্ষ..নে লুন্ঠনে…….,
আর শত ধায় অশ্রু ধারায়-কান্না ঝরায়
প্রানে……………..।
জাগো রে জাগো রে জাগো রে মাতা, ভগ্নী জায়াগ…..ন,
জ্বলছে আগুন দাবা…নলের-লকলকে
গনগ….ন। লকলকে গনগ……..ন।
জয় কালিকা মা বোলেতে, খর্গ ধ..রো হাতে............
মানছি না আর, মানব না আর-দারুন
প্রত্যাঘাতে…। মানছি না আর, মানব না আর-দারুন
প্রত্যাঘাতে……….।
অরুণ শ্য...মল শ্যামলি...মায় গড়তে সাধের দেশ,
বাঁধ রে আঁচল, বাঁধ রে কোমর-রূপ দেখা
তোর বে............শ।
রূপ দেখা তোর বে............শ।
জাগো রে জাগো রে জাগো রে মাতা, ভগ্নী জায়াগ…..ন,
জ্বলছে আগুন দাবা…নলের-লকলকে
গনগ….ন। লকলকে গনগ……..ন।
লকলকে গনগ………………...ন।
  
“হারামজাদা”


উঠছে জেগে হারামজাদা, বঙ্গ দেশের বীর সবে,
দুম তুলে লেজ আর পালাবি
পার পাবিনা এই ভবে।
আকাশকুসুম গাল গপ্প-করছি না'রে ও বেহায়া,
পাল তুলে হাল বইলি অনেক
করলি নে রে দয়া মায়া।
চৌকিদারি করতে দেশের, ছাল তুলে দিস জনগনের,
সব ভুলে তুই লাট্টু ঘুরাস-ষোল আনা
হিসেব ধনের!
অনেক হলো আর নে ভাই-দীন দুঃখী কাঁতরে মরে,
হাল ধরেছি পাল তুলেছি-জাগ দিতে ভাই
ঘরে ঘরে।
জাগ হ'লে শেষ আসবে তেড়ে-মেরেই দিবে বাণ,
টন টনা টন হিসেব নিতে-আসছে
জনগন।
উঠছে জেগে হারামজাদা, বঙ্গ দেশের বীর সবে,
দুম তুলে লেজ আর পালাবি
পার পাবিনা এই ভবে।


“পাগল ভোলা”


জলে থৈ থৈ পানির বাহার, গ্রাম ক্ষেত সব ডোবে,
জীবন করুন বেদনার রঙ;
চাষা ভূষা মজুর শ্রমিক-
আর্ত কলরবে।
ফেলানির মা চা বেচে রোজ ছোট্ট দোকানটায়,
না আছে ছাদ, না আছে চাল,
বর্ষা দারুন ধায়।
বন্ধ মজুর কাজ কামারি-দিনান্তে প্রাণটি যাদের,
আর চূলা না জ্বলছে ঘরে
জল ঝরে চোখ
অবসাদের।
বর্ষারানী আর দুখানী বৈরিতা রোজ চলে,
ফেলানির মা জুতার মালা
ঝুলায় যে তার
গলে।
আমরা কবি লিখতে কলি-বর্ষারানীর গীত'টি গাই,
রিন ঝিন ঝিন ঝিন শাওনধারায়
হৃদ মনেতে হারিয়ে
যাই।
তাই যে শ্রাবণ আর লাগেনা-দেয় না প্রাণে দোলা,
হারিয়ে গৃহ আর গবাদি
গায় সে পাগল
ভোলা।