"প্রেমকাহিনী"


বয়স কম বছর কুরি তাই কী প্রেম ভাও,
নিংরে প্রাণ হটাৎ উদয়
বইল প্রেমের নাও।
মালদ যেতে ইলেকট্রিকের ঠিকাদারির ঠিকা
হতাৎ বাসে স্বপ্ন উদয়
পেলাম তারি দেখা।
অচীন পুরের পরীর সাথে হলো চোখাচোখি
কী বলি ভায় হারিয়ে গেলাম
আমার মনোপাখি।
আরে আরে এ কী ভাই-সে আমার সিটে এলো,
আমায় বলে সহায়তা
করবে আমায় একটু
বলো।


আকাশের চাঁদ জ্যোছনা আলো দিলই যেন ধরা,
অরূপ রতন পরম সে ধন
উজার আলো করা।
বলছি আমি বলব কী ভাই উজান গেলাম ভেসে,
স্বপ্নমহল দিব্য কুসুম
হারিয়ে সেই দেশে।
স্তব্ধ হৃদয় কন্ঠ হারা সন্মোহনের সেই রেশেতে
বল্গাবিহীন খুশির জোয়ার
বাক্য দিলেম জীবন
দিতে।


সে তার বোনের এডমিশানের মালদা কলেজে,
কলজে আমার সড়গড় সেই
বলেই দিলেম চিন্তা কী’সে।
থাকতে আমি দিলখানি মোর দিবই উজার করে,
ভর্তি সে তো করেই দেব
একে ওকে তাকে ধরে।
থামল সে বাস ব্যাঙ্কে গেলাম তুলতে কিছু টাকা
সে ছিল মোর সাথে রে ভাই
থাকব না'কি ফাঁকা!
তুলেই টাকা গেলাম হোটেল রুমটা দিলেম ভায়
বিশুর সাথে গেলাম ঘরে
আসলো সে পায়
পায়।


কী বলি ভাই দুরদুর বুক হালকা হতে গোসল করি,
তারপর ভায় সারাটা দিন
একে তাকে কলেজ ধরি।
করেই দিলেম যা যা করার আর তো কিছু নাই
বলব কী ভায় দুঃখ বুকে
বাসস্টান্ডে ছাড়তে যাই।
শূন্য বুকে বাজলো সে বীণ ঘরটা চাই ঠিকানা,
চক্ষু যেন জলটি ভরে দেখতে নারি
যেনই কানা।
কানুর মতই প্রেম সে মহল ধরতে আকাশ বাড়ি
সে দিল তার লিখেই ভায়
কোনখানে তার
বাড়ি।


আমি কী ভাই অতই বোকা আমার টাও দিলাম তাকে,
বাজলো বেতার ইথার যেন
বিদায় দিলাম তাকে।
তাই ব'লে কী শেষ হল কী, না ভাই হ'ল শুরু
শিলিগুড়ি গিয়েই রে ভায়
চিঠি পেলাম
গুরু।


সেই কাহিনী বলব কী ভায় চিত্ত নাচে সুখে,
সেই চিঠিতে হারিয়ে গেলাম
ধরেই নিলেম বুকে।
সে পরী তো সেবার ত'রে নার্স ছিল তার ব্রত,
ক্রমান্বয়ে জানতে পেলাম
জামালদহে রত।
রত্তি খানিক খুম আসেনা তার মোহনে আমার বস,
দু'চার বছর আদান প্রদান
চিঠি পাঠির করুন রস।
তারপর সে হারিয়ে গেল চিঠি আসা বন্ধ হ'ল,
আমিও তো মানুষ রে ভায়
দিন কালেতে ভুলতে
হ'ল।


ভেবেছিলেম ভুলে গেছি না ভাই ভুলি নাই,
তাই তো তাকে খুজতে থাকি
হাসপাতালে যখন
যাই।


“ঋণ”


ক্ষুধার্ত প্রেতযোনি আছিল অব্যর্থ সঙ্গমস্থলে
সমাহিত প্রাণ সিক্ত কোমলে
হূলেতে দলে দলে।
কাঞ্চন দল তরিৎ চকিতে ফনায় তুলিতে বেণী,
দুরন্ত বেগ ঘূর্ণির প্রায়
আকাশ তুলিতে ধ্বনি।
রুদ্র প্রলয়ে আসমান জাগে বিজুলি চমকিত ঘন,
ঘন ঘোর ঘটা জালেতে বিঁধিতে
প্রলয়ো ঘন্টা সম।
নাদ সে ভীষণ ভৈরবে ঘটা মহাকাল ধাম নামে,
প্রেতযোনি তাহে প্রহার করিতে
সঙ্গম স্থল ধামে।
পিপাসিত প্রেত ভুপাতিত ক্ষয় লয় কালে হয় লীন,
ধন্য ধরনী ধন্য হে কাল, অনেক-
অনেক রহিল
ঋণ।


“স্বপ্ন”

তপ্ত ধরায় দিবস গড়ায় রাত্রি আসে ভূমে,
যাও না তুমি পাড়ার সবাই
গভীর রাতের ঘুমে।
আমি না'হয় একটু জেগে স্বপ্ন হয়েই রই,
রাত আকাশে বিন্দু ধরে
সিন্ধুতে রব কই।
চোখের তারায় তোমার হারায় আমি না'হয় জেগে,
উদাস বাউল কাব্য গানে
বাতাস প্রবল বেগে।
তোমার ধরায় দিলেম ঝরায় স্বপ্ন রাশি রাশি
আমি না'হয় একটু জেগে
রাত আকাশে
ভাসি।