“খুকু”


খুকু গেল নদীর ঘাটে
পদ্ম ফুটেছে,
তার লাগে সে পদ্মকলি
তাই সে ছুটে-
ছে।
মা দিল রব খুখুমনি
কোথায় গেলি তুই,
পাইনে যে-খুজে তোরে
আসমান আর
ভূঁই।
খুখু খুকু করে মায়
দশ দরিয়ার পানি,
হটাৎ খুকু উদয় হলো
হাতে পদ্ম
খানি।


“নির্বাণ”


ইচ্ছে হইলেই মানুষ হওয়া যায়।
সবার ভেতরেই একই সত্তা বিদ্দমান।
জ্ঞানই পারে সে হোম
প্রজ্জ্বলিত করিতে।
সে হোমের অনল প্রজ্জ্বলিত হইলেই দেখিতে পাওয়া যায়
মিথ্যে এ সংসারের সমস্ত মতিভ্রম।
অনন্ত শ্বাশত চিরন্তন ধরা দেয় অন্তরে,
মৃত্যুসত্তাই যে প্রকৃত সত্য
উপলব্ধি করিতে পারে হৃদয়,
হিংসা দ্বেষের হয় চির অবসান।
মানুষ হয়ে জেগে ওঠে
অন্তর।
যে জন হৃদয় মননে সে সত্য উপলব্ধি করিতে পারেন,
বিষয় আসয় বিত্ত সম্পত্তি তার কাছে
গৌন হয়ে ওঠে, ঈশ্বরে মিলন হয়
তার।
জাগতিক সমস্ত বাতুলতাকে তিনি
মায়ার বন্ধনে আবদ্ধ করবার ক্ষমতা রাখেন।
সুখ দুঃখ ব্যথা বেদনা ঈর্শা কাম ক্রোধ
জয় করে নিতে পারেন তিনি অনায়াসেই,
জাগতিক দেহে তিনি বিরাজ করেন স্তিতধী হিসেবে,
গঙ্গাপ্রাপ্তিতে হয়
নির্বাণ।


(প্রিয় কবি মোনায়েম সাহিত্য মহাশয়ের শুভ জন্মদিনে লেখা সঙ্গীত)
“অম্লান”

আজিকে পুঞ্জে ভ্রমরো কলিতে, মধু-সঙ্গীত দিকে দিকে,
জাগিল সে প্রাণ অম্লান বহে-
সৌরভে চারিভিতে। সৌরভে চারিভিতে।
বাজিল মাদল অপরাজিতা-পত্র পুষ্প শঙ্খরবে,
ঊষার আলোক পশিল কাননে
অমৃত কলরবে।অমৃত কলরবে।
বিহঙ্গ জাগে কূজনেতে প্রাণ মিষ্টি মধুর সঙ্গীতে,
ধরনীর মান ধন্য হ'ল যে-মাধুরিমা
প্রেম গীতে।মাধুরিমা প্রেম গীতে।
নাই কিছু নাই রত্তিখানিক-শুধু ভালোবাসা প্রেম প্রীত,
দিতে পারি হৃদ, আকাশ সমান
জন্মদিনের গীত।জন্মদিনের গীত।
হাজার বছর বইতে ধরায়-অমৃত কথাকলি
দাও কৃপাময় দাও গো আশীষ
দাও গো দু'হাত তুলি।দাও গো দু'হাত
তুলি।