“শ্রদ্ধাঞ্জলি”
সুরভিতে সুরোভিত নয়নেতে সরসীতে,
টলো টলো টলো টলো- প্রেম প্রীত
চারিভিতে।
নয়নেতে কথাকলি স্নেহ ভারে ঝরে জল,
মননেতে হৃদয়েতে তারি ধারা
অবিরল।
তা'রি স্নেহ তা'রি সুধা তা'রি ধরা লেখনীতে,
তা'রি কথা তারি বাণী প্রচারিতে প্রেম
গীতে।
জানি নাই কেন তারা ফুটে ওঠে অন্তরে,
ছুটে যাই ছুঁতে যাই তা'রি ধারা
প্রান্তরে।
চিন্তনে মানবতা দীন দুখী কতকথা,
ফরিয়াদে ফণা তুলি ঈশ্বরে কই
কথা।
কভু তা'রি সুধাবারি কভু তারে বাণ মারি,
কটু কথা শত কত ঢেলে দেই
আজহারী।
মান তাহা যাহা কিছু প্রাপ্য সে তা'রি ধন,
চলো সবে হাতে হাত ধরি আজি
নেই পণ।
তিনি দানে দিল মসি নাই কোন গড়িমসি,
চলো গড়ে তুলি তারে শনশনে ফলা
অসি।
“সুখ নীড়”
মসি লিপি দিয়ে ছবি হৃদয় ও মননেতে,
সুখ নীড়ে বাধি ভেলা
পারিজাত কাননেতে।
যাহা কিছু সুখ মম হৃদয়ের আঙিনায়
কলি সম ফুটে ওঠে হৃদ মন
দরিয়ায়।
অনলের ঘেরাটোপে সংসার কিনারেতে
খুশি রই ছন্দেতে কবিতায় মন
মেতে।
আর কিছু নাহি চাহি নাহি আঁশ মননেতে
রণ নাহি প্রেম চাহি কবিতার
কাননেতে।
জানি দেহ রবে নাতো ভবলোকে দরিয়াতে
যাহা কিছু মোহ মায়া যোনি পাবে
ভুতলোকে।
পরাভূত হবে কায়া কাল যবে ডেকে যাবে
নাহি খেদ দেহে তাই ডুবে রই
তারি ভাবে।
“দোল”
বৃষ্টি ধারায় সিক্ত কলি শাওন বরিষণে
জাগলো লতা জাগলো পাতা,
জাগলো কবি গানে।
রুক্ষতারই অবসানে রিম ঝিম ঝিম ধারা,
জুড়লো পরান স্বস্তির গান,
হৃদয় পাগলপারা।
জলদ ঘন কর কর নাদ আকাশ ফোটে বোল
খুশির মাদল বাদ্য গীতে
শ্রাবন দিল দোল।
জাগলো ময়ূর কেকা রবে পেখম দিল মিলে,
জলদ তারি জল ঢেলে যায়
নদী পুকুর বিলে।
প্রাণের পরশ বৃক্ষ শাখে হরিত হ'ল প্রাণ,
আর কৃষাণে লাঙল হাতে
সজীবতার গান।
প্রাণের ধারা শ্রাবণ বারি লগন ধরি মন,
বরণ ডালি আয় মিলে দি
সাদর সম্ভাষণ।