(আজ প্রাতে সংবাদপত্রে দেখলাম হতদরিদ্র কৃষক পরিবারের মেয়ে পড়াশোনার ফাঁকে মায়ের সঙ্গে বিড়ি বেঁধেও মাদ্রাসা বোর্ডের পরীক্ষায় রাজ্যে চতুর্থ স্থান দখল করেছে। মাধ্যমিকে প্রস্তুতির জন্য মুসকানের ৩ জন গৃহশিক্ষক ছিলেন। কিন্তু কোনো শিক্ষকই মুসকানের থেকে বেতন নেননি। তাদের সৌজন্যে আমার এ লেখা।)


“তাজ”


সেলাম জানাই আজ ঊষাতে, গর্বিত হয় বুক,
শিক্ষক তার সম্মানেতে-হচ্ছি রে
ভাবুক।
নাই মোহ নাই ধনের আশ শিক্ষা নিরন্তর,
মুসকান তার শিক্ষক তিন-ভরলো রে
অন্তর।
বিন বেতনে শিক্ষা দিলেন মন প্রাণ আর হৃদ,
গৌরবেতে শির চরণে-আমরা
ভাষাবিদ।
গড়তে গাঁথা হৃদয় বেণী মানব সমাজ আজ,
আর ধরাতে বইতে চলে
মানব প্রেমের তাজ।
মুসকান সে মায়ের সনে বাঁধত হাতে বিড়ি,
আর সোপানে শিক্ষা নিত
হৃদ প্রাণেতে ভরি।
আনন্দেতে বইছে ধারা কপোল বেয়ে যায়,
সেলাম জানাই শিক্ষক আর
ছাত্রী দু'জনায়।


“নিপা”


নিপায় থাবা নিপুণ মারে, ত্রস্ত দুনিয়া,
চিকিৎসক সেবাকারী-কাউকে
ছাড়ে না।
বাদুর যেথায় ঝোলে, নিপায় কথা বলে,
আর বরাহ ছড়ায় সে বিষ
নিত্য তলে তলে।  
নাই পথ্য কোনো, কান দিয়ে মন শোন,
আর দূরেতে তাদের থেকে
নইলে প্রহর গোনো।
ধুম জ্বরেতে প্রাণ, মাথার ভারে ম্লান,
ভাইরাসেতে ভরতে দেহে
ক'দিন বাদেই জান।
জান কী বাজি এমদম না-খাটাল হটাও দূরে,
আইসোলেশন রাখতে রোগী
পৃথক ওয়ার্ড গড়ে।
আর ব্লিচিং ওহে মেয়র ছড়াও দিকে দিকে,
সকাল বিকাল ধোঁয়া মারো
আকাশ করো
ফিকে।


“বাপের ব্যাটা”


বাপ ফেলে তুই কালসাপ! পুষলি রে তুই ঘরে,
আর্ত সে জন দেখলি না'রে
জন্মদাতার তরে।
তোর পাপেতে কাঁদছে রে ভব, করুণ কথাকলি,
আর আঁছিলায় বাপকে বাড়ি
দিলি জলাঞ্জলি।
জন্মে ধরায় আঙুল ধরে শিখলি রে তুই হাঁটা,
তুই তো ধরার কীট রে দানব
কেমন বাপের বেটা!
আসছে সে দিন কাল বয়ে যায় বৃদ্ধ হ'বি তুই,
তোর পুত্র গৃদ্ধ হবে
বাপের ব্যাটা
সই।