“কলির কালিমা”


কলির কালিমা লেপা-আজি অন্তর নিরাভব,
সাধিতে আপনো মোক্ষ যামিনী
নিশীথ জপিতে ভব।
ঘনায়ে তমা আঁধারেতে প্রাণ ল্যোলুপ্ত শিখা বারি,
বহ্নি জ্বালিছে দাবানল রোষ
ঘৃণা আর ধিক্কার'ই।
প্রেমের ডালি সে শূণ্য আজিকে কলরোল নাই প্রাণ,
দশ দিশা মান অনল সমান
বর্বরতার গান।
কাঁদিছে আকাশ কাঁদিছে বাতাস সাগর পাহার ভূম,
উগ্রতারই করাল গ্রাসের-
নগ্নতারই ধূম।
হৃদয় শ্মশান প্রলয়ের গান নাগিনীর হিস হিস্,
নফরত আর হিংসা দ্বেষের
গরল তরল বিষ।
জননীর মান জন্মভূমি ভগ্নীর নাই মান,
অযুতো নিযুতো লাজ গাঁথা সে
অশ্রু লহুর বান।
রণ দামামা চৌদিকে রব শঙ্কা জাগে প্রাণ,
ধ্বংস নিশান দেয় প্রতিদান
বিদ্বানী বিজ্ঞান।
নাই মানবে ভ্রাতৃপ্রীতি শৃঙ্খল নাই হাত,
জাত জালিয়াত জাল সে বিছায়
নাই শ্রমিকের ভাত।
আজ মসিতে কান্না ঝরে লিখতে কতকথা,
নাই রে পরান সম্পৃতি গান
কই সে কালের কথা।


“ভুলভুলি”


বুলবুলি রে বুলবুলি, করিস কেন চুলবুলি,
আসিস আবার যাস রে চলে
ফাগুন দোলে ফুলগুলি।


বুলবুলি রে বুলবুলি।


আকাশ কালো বৈশাখী মেঘ, চল'না আজি পরান মেলি,
কুঞ্জবিতান পুঞ্জে পুঞ্জে, সিঁদুর রঙের
খেলা খেলি।


বুলবুলি রে বুলবুলি, করিস কেন চুলবুলি,
আসিস আবার যাস রে চলে,
আগুন লাগে ভুলভুলি।


চরৈবতি প্রাণের খেলায়, লজ্জাবতীর প্রাণের দোলায়,
হেলায় ফেলায় দিস না আমায়,
চর্তুদোলায় ভুলভুলি,


বুলবুলি রে বুলবুলি, করিস না'রে
চুলবুলি।


“বিন্দু”


স্পেস শব্দটার অর্থ আজ পাল্টে গেছে,
একটা বিন্দুতেই থাকতে পারে
অনন্ত অসীম স্পেস।
আর তাই ভাবি হয়তোবা অনন্ত অসীম মহাবিশ্ব
একটি বিন্দুতেই সমাহিত। অগণিত তারামন্ডল আর
বিশ্বব্রহ্মাণ্ড আর তাই তো কোনও কোনও সময়,
কোনও এক বিশেষ মুহুর্তে গেট চ্যানেলের মাধ্যমে
চলে আসে বা চলে যাওয়া যায় এক বিশ্ব থেকে
অন্য আর এক বিশ্বে। কারণ সহাবস্থান তো
একটাই বিন্দুতে।
ঠিক তেমনই ব্যাপার যেমন প্রথম পাতা থেকে
এক লক্ষ পাতায় একটি মাউস ক্লিকেই
চলে যেতে পারি নিমেষেই।
এমন আজব ঘটনা পৃথিবীতে অনেক ঘটেছে,
বারমুডা ট্রাই-এঙ্গেল তার জ্বলন্ত
উদাহরণ।
এছাড়াও অনেক অনেক উদাহরণ রয়েছে,
এমনই একটি মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল বিমান বন্দর থেকে।
তার কাছে বৈধ পাসপোর্ট-ও ছিল কিন্ত,
যে দেশের পাসপোর্ট তার কাছে ছিল
সে নামে কোনও দেশ পৃথিবীতে ছিল না।
কড়া পাহাড়ায় তাকে একটি সেলের মধ্য বন্দী করে রাখা হয়।
পরদিন সকালে সে সেল খুলে
তাকে আর সেখানে পাওয়া যায়নি।
গেট চ্যানেলের মাধ্যমেই সে হয়তো চলে এসেছিল পৃথিবীতে,
অন্ততঃ বিজ্ঞানীরা তাই মনে করেন।
এখনো অনেক অনেক রহস্য জানতে
বাকি আছে আমাদের তবে আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি যে,
একটা বিন্দুতেই সারা মহাবিশ্ব গ্রহ তারা নীহারিকাপুঞ্জ
সমাহিত। আর সে রহস্য সমাধান করতে পারলেই
দূর আর দূর থাকবে না-নিমেষেই পৌছে যেতে পারব
এক গ্রহ থেকে আর এক গ্রহে-হোক না সে
হাজার আলোকবর্ষ দূরে।