“শ্রদ্ধাঞ্জলি”
(প্রায় প্রতিদিন'ই ভাবি সে শক্তি বোধহয় লোপ পেয়েছে, আবার লিখেও চলি প্রতিদিন। জানি না কতদিন থাকবে এ শক্তি। এভাবেই চলতে চলতে কিছু গান কিছু কবিতার সমন্বয়ে আজ অর্ধশতকে পৌছে গেছে "গানে গানে দিগন্ত”। এই অবসরে আপনাদের নিবেদন করলাম আমার বিনম্র "শ্রদ্ধাঞ্জলি'। আপনাদের আশীর্বাদ কামনা করি।)


“শ্রদ্ধাঞ্জলি”


লহ অঞ্জলি মোর, তব চরণ ধূলিতে
বাঁধিতে আমার'ই প্রাণ,
জোড় করে গাই, মূল্য গাঁথায়
তোমাদের'ই অবদান। তোমাদের'ই অবদান।
আজি এ প্রভাতে চাহিলাম দিকে শান্তির আবাসন,
গাহিতে কূজনে হৃদ প্রাণ মনে
তোহাদের আরাধন।
লহ অঞ্জলি মোর, তব চরণ ধূলিতে
বাঁধিতে আমার'ই
প্রাণ


"প্রশস্তি"


আহা! কি অপরূপ হেরিলাম গাঁয়
সাঁজের বেলাতে আজি,
ঝিঁ ঝিঁ রব, শাল পিয়াশাল
বনেতে চলেছে
বাজি।
আলো আঁধারিত গাঁয় শীতল পরশ
প্রশান্তি গীত গায়,
বাসন্তী রঙ নীলিমাতে সাজি;
পর্বত পানেতে
চায়।
হে মোর বঙ্গমাতা-রূপেতে গরবীনি,
জন্মে তোমার বক্ষে মা'গো
মধুর বাজিছে
ধ্বনি।
অক্ষে অক্ষে সুর ধ্বনি মা,
বিতান মধুর অলি,
কুঞ্জে কুঞ্জে বহিছে তোমারি
হরিত রবের
বুলি।
আহা! কি অপরূপ হেরিলাম গাঁয়
সাঁজের বেলাতে আজি,
ঝি ঝি রব, শাল পিয়াশাল
বনেতে চলেছে
বাজি।
  
"প্রেমপত্র"


শিউলি, তুমি শিশির সিক্ত কোমল কলি,
তুমি মধুবন জ্যোছনার কথাকলি,
শিউলি, তুমি উড়ন্ত ধবল বলাকার রাশি,
শিউলি, তোমায় আমি
ভালোবাসি।
ভালোবাসি তোমার মুক্তঝরা মধুর হাসির কিরণ,
তোমার অঙ্গ প্রত্যঙ্গে বয়ে যাওয়া
স্নিগ্ধ চপলতা,
ভালোবাসি, তোমার কন্ঠ কাকলিত মধুর কথাবুলি,
শিউলি; তুমি আমার হৃদয় তরঙ্গে বয়ে যাওয়া
প্রশান্ত সাগর, রজনীত লক্ষ তারা্র
ঝিলিক মালা;
প্রাণের চঞ্চলতায় বয়ে যাওয়া কুলুকুলু নদীর স্রোত,
প্রশান্ত নির্জন উপবন।প্রাণের মধুর
উপাদান।
শিউলি, আমি তোমায় ভালোবাসি।
আই লাভ ইউ শিউলি, আই লাভ ইউ
আই লাভ ইউ।


"বাসনা"


সমবন্টন আকাশ কুসুম কল্পনা-সুষম পেতে চাই,
দু'মুঠো ভাত রুজি রোজগার-আর
ছোট্ট একটা ছাদ চাই।
লজ্জা চাই নিবর্তন-শুন হে সরকার,
উষ্ণ প্রাণের পরশ চাই-কর্ম চাই
অধিকার।  
শিক্ষা চাই অরূপ রতন-স্বাস্থের অধিকার,
কর্ম চাই জন প্রতি জন-চাই
সে অঙ্গীকার।
ধন বাঢ় সুখ চাই না মাতে-খাদ্য সুরক্ষা,
আর চাহিদা দাম সে শ্রমের
সঠিক মূল্যতা।
সমবন্টন আকাশ কুসুম কল্পনা-সুষম পেতে চাই,
দু'মুঠো ভাত রুজি রোজগার-আর
ছোট্ট একটা ছাদ
চাই।