“ক্রীতদাস”


তস্ত্র ধরা শৃঙ্খলে প্রাণ, নাই নিজ বুঝ, দাস;
দাস তো সবাই করুণার রস
দীন সে ক্রীতদাস।
বলির পাঁঠা শির ভূমেতে ভয় ভীত সে প্রান,
অশ্রু ঝরে নির্ঝরেতে-গরল তরল
গান।
পদ লেহনে লিপ্ত মতি চাবুক কশা জোর,
পল পলেতে মৃত্যুর গান
নাই'রে ঊষার ভোর।
আঁধার তমা গহন কালো অশ্রুঝরা হৃদ,
রক্তের গান ভয় ভীত প্রাণ
নাই কেহ সুহৃদ।
তস্ত্র ধরা শৃঙ্খলে প্রাণ, নাই নিজ বুঝ, দাস;
দাস তো সবাই করুণার রস
দীন সে ক্রীত=
দাস।


“তমানিশা”


আশার কিরণ জ্বালি প্রদীপ্ত আলো জ্বেলে,
তারি নিচে, তারি নিচে ধেয়ে চলে
তমানিশা ধরা কালো।  
ধরা কালো, ধরা কালো, ধরা কালো।
আশার কিরণ জ্বালি প্রদীপ্ত আলো জ্বেলে।
আশার কিরণ জ্বালি প্রদীপ্ত আলো জ্বেলে।
বেদনার সাগরেতে সংসারে রোদনেতে,
দিশা খুজে চলি আলো,
চলি আলো, চলি আলো, চলি আলো।
হিংসাতে দিকে দিকে-নাই কিছু, নাই কিছু            
আলো ভালো। নাই কিছু আলো ভালো।
ঝঞ্ঝাতে ঘন রবে, তুফানেতে ঘূর্ণিত, বায়ু জল হলাহল,
শত রবে, শত রবে দিকে দিকে নাগিনীর
কোলাহল। নাগিনীর কোলাহল।
ছিঁড়ে যায় পাল, মাঝি-অনন্ত দরিয়াতে,
অশান্ত সাগরেতে, লহরেতে
ফরিয়াদে।
আশার কিরণ জ্বালি প্রদীপ্ত আলো জ্বেলে,
তারি নিচে, তারি নিচে ধেয়ে চলে
তমানিশা ধরা কালো।তমানিশা ধরা কালো।  
তমানিশা ধরা কালো।


‘সম্পৃতি’


সুখের জোয়ারে ভেসে যায় অন্তর,
গ্রামখানি সুমধুর ধু ধু নেই
প্রান্তর।
প্রাণ রাশি উচ্ছল বিহঙ্গ কলরোল,
জনপদ হাসি খুশি তরঙ্গ
উতরোল।
হৃদয়েতে প্রজাপতি সাত রঙ্গা পাখনাতে,
সোনা ধান মাঠে ধরা-গোঠ ভরা
বাকনাতে।
নাই দ্বেষ হিংসা, নাই ছলো কথাবুলি,
গেরস্থ প্রেমে ভরা-শিস দেয়
বুলবুলি।
প্রেম প্রীতি গীতে ভরা বিতানেতে হাসে কলি,
সাঁজে ধরা সম্পৃতি-মাঠে মোরা
সবে মিলি।
প্রেম দিয়ে গড়া গড় প্রচুর্যে ভরা প্রাণ,
সবে মিলে হাসি রাশি
ভালোবাসা গাহি
গান।