“লীন”


দুঃখ সুখ প্রাণের লহর তরঙ্গে পায় গতি,
যে জন স্তিতধী, দুঃখ শোকে
নির্মল প্রাণ স্তিতি।
ধন লাভেতে নাই আশ যায় মানবের গায় গীত,
দীনো জনে প্রাণ যাপিত রজনী
ভালোবাসা প্রেম প্রীত।
ঝর্ণা সে প্রাণ কুলুকুলু বয় সাগর দিশার পানে,
অপরূপ তার স্নিগ্ধ কায়া
ধন্য জীবন গানে।
অধর যার মুক্তোঝরা হৃদয় নির্মল,
নাই হিংসা কপট বারি
মিথ্যা দ্বেষের ছল।
জীবন তার'ই ধন্য ধরায় পুণ্যে মসলিন,
আর যোনি সে পায় না দুখ
ঈশ্বরে হয় লীন।


“দেবরাজ”


একদিকে আই এস আর একদিক সরকার,
মৃত্যুর বাণী নিরবেতে-বাঁধে গীত
রচিত ধূয়াধার.....................।
মানবতা কাঁদে শিয়রে নিশীথে পূণ্যবতীর প্রাণ,
ধ্বজায় আজ দানবতা রাজ
কুপিত করাল গান।
যে শিশু ভুমিষ্ট হ'ল আজ রাত কী'বা জানে হীন,
হা হা রবে উদিত ক্রোধেতে
ভবেতে আশু'তে লীন।
কুন্ডলীকায় পাহার প্রমান হিংসার দেশ ভেষ,
গাহিতে গীতি ইতিহাস পানে
ভিক্ষুক দরবেশ।
নাই কী মাতা সোপানে তোমারি মানব নিশানা খোঁজ,
দ'লিতে হৃদয় প্রাণ তনু মন
দলিত প্রাণেতে রোজ।
কবির কালিতে কালিমা লেপিতে দানবতা আজি রাজ,
হায়েনার সাজে গৃদ্ধ বুলিতে
কেন তুমি দেবরাজ?


“মাট্টি”


পন্ডিত এক উঠল নায়ে শুধায় মাঝি'রে
বলতো দেখি গীতায় কী কয়
বাণীর প্রকারে।
মাঝি খানি হাঁ করে রয়-কয় না কোনো কথা,
পন্ডিত কয় তোর জীবনের
চার আনাই বৃথা।
বাইবেল আর কোরান কী নাম না জানে তা,
পন্ডিত কয় তোর জীবনের
বারো আনাই বৃথা।
মাঝ নদীতে নাওটি যখন উঠলো তুমুল ঝড়টি,
শুধায় মাঝি পন্ডিতে'রে-সাঁতার জানেন কী!
উলট পালট ডিঙিখানি সাঁতরে মাঝি পার'টি,
আপনার জান কইলো মাঝি-
ষোল আনাই মাট্টি!