“এক আঁজলা জল দে মা”


এক আঁজলা জল দে মা ওষ্ঠতে নাই প্রাণ
খর বায়ু বয় প্রবল গতি
দিকে দিকে শয়তান।
এক আঁজলা জল দে মা ওষ্ঠতে নাই প্রাণ
বাণ মারে মা খল সে অতি হলকা বায়ুর ছোঁয়া,
বাণ মারে মা খল সে অতি হলকা বায়ুর ছোঁয়া,
হায়নার চোখ লকলকে জিভ
তপ্ত ছোবল হাওয়া।
এক আঁজলা জল দে মা ওষ্ঠতে নাই প্রাণ
এক আঁজলা জল দে মা ওষ্ঠতে নাই প্রাণ
খর বায়ু বয় প্রবল গতি
দিকে দিকে শয়তান।
সম্ভ্রমে মা বাঁচতে নারি দীর্ণ প্রাণের কলি,
বাস ট্রেন মা হাট বাজারে
প্রাণ হাতে মা চলি। প্রাণ হাতে মা চলি।
ক্পট ফাঁদে মন কাঁদে মা দানব মনো মতি,
পণের দায়ে মা গো মা
দেয় যে ফাঁসে গতি। দেয় যে ফাঁসে গতি।
বাণ মারে মা খল সে অতি হলকা বায়ুর ছোঁয়া,
হায়নার চোখ লকলকে জিভ
তপ্ত ছোবল হাওয়া।
এক আঁজলা জল দে মা ওষ্ঠতে নাই প্রাণ
খর বায়ু বয় প্রবল গতি
দিকে দিকে শয়তান।দিকে দিকে শয়তান।
দিকে দিকে শয়তান।


“পালকি দোলে”


ওরে ওই অগ্নিশিখা আর ছলনায় দিস না দেখা,
ভাঙতে হৃদয় ঘর পরিবার
হীন মনতার কপট
রেখা।
মমতার হৃদটি মিলে আয় সখী আয় মধুর বোলে,
ছন্দ তারি অগ্নিবীণায় ধরতে রে হাল
পালটি তুলে।
পালকি দোলে পালকি দোলে হালকা চালে;
মধুর বোলে আয় সকলে, আয় সকলে
শাশুমা সে মায়ের সমান দিস না ছোবল মারিস বাণ
অম্লমধুর করিস না রে, সে যে তোরই
স্বামীর প্রাণ।সে যে তোরই স্বামীর প্রাণ।
মমতার হৃদটি মিলে আয় সখী আয় মধুর বোলে,
ছন্দ তারি অগ্নিবীণায় ধরতে রে হাল
পালটি তুলে।
ওরে ওই অগ্নিশিখা আর ছলনায় দিস না দেখা,
ভাঙতে হৃদয় ঘর পরিবার
হীন মনতার কপট
রেখা।হীন মনতার কপট রেখা।


“পরিচিতি”


কী লিখি তোমায়!কী লিখি তোমায়!  
ব্যথায় ব্যথায়, আজ নয়নেতে নাই আলো,
ভুলে গেলে সই ধন সে লোভে
বেসেছিলে ভালো।
আজ সমীরণ শীতল বায়ু সাত মহলায় তুমি,
অশ্রু বহে তপ্ত বাতাস হৃদয়
মরুভূমি।
মহতীর ভেষ ধরেছিলে সই-ভলোবাসার খুসবুতে বান,
বাণীর ঘাতে আর দোয়াতে
গেয়েছিলে প্রেমের গান।
মান-বতার ভেকধারী সাঁজ আর পরানে দয়ায় গীতি,
সাত মহলায় আজ রাজেতে, চিনতে
তোমার পরিচিতি।
কী লিখি তোমায়!কী লিখি তোমায়!  
ব্যথায় ব্যথায়, আজ নয়নেতে নাই আলো,
ভুলে গেলে সই ধন সে লোভে
বেসেছিলে ভালো।
আজ সমীরণ শীতল বায়ু সাত মহলায় তুমি,
অশ্রু বহে তপ্ত বাতাস হৃদয়
মরুভূমি।
কী লিখি তোমায়!কী লিখি তোমায়!  


একটা ফাউ কবিতা,
"মা আর গাই, কোনোও তফাৎ নাই”


গরু একটি গৃহপালিত জন্ত,
গরুর চারটা পা একটা লেজ  আর
দুইটা বড় বড় কান।
কান নয় তো হোগলা পাতা।
গরু ঘাস খায় যেমন কিছু লোক নিরামিষাশী,
শাক লতা পাতা ছাড়া কিছুই খায় না,
একদম গাই কী বাচ্চা।
গরু ঢিসা দেয় না ফোঁস ফাঁসও করেনা,
তাই গরুকে মাইয়া বলে,
মা যেমন! শত ঘা দিলেও নির্লিপ্ত।
মা আর গাই, কোনোও তফাৎ নাই।