(বজ্র বিদ্যুৎ সহ ঝড় ও মুশলধারে বৃষ্টি চলছে , যে কোনও সময় লোডশেডিং হতে পারে তাই সম্পাদনা না করেই প্রকাশ দিলাম, কিছু ভুল থাকলে পরে সংশোধণ করে দেব)


“মা”


স্নেহের আধার নীড় তপোবন স্নিগ্ধ বটের ছায়া,
জ্যোর্তিময়ী দিব্য আলোক
আর বুকেতে মায়া।


ধন্য তুমি মা, তোমার নেইকো উপমা।


আঁচল তোমার ক্ষেত্র হরিত ঢেউ তুলে যায় বায়,
সুবাস মেতে শিশির প্রাতে
গান সে গেয়ে যায়।গান সে গেয়ে যায়।


সাগর উছল সসাগরা ধাত্রী তুমি মাতা,
শির তুলে কই সাহস বুকে
ন্যায়ের ইতিকথা।


হৃদ দরিয়া মুক্তোরাশি হীরের কণা তুমি,
মানুষ হতে শিক্ষা দিলে
আমায় মামনি।


স্নেহের আধার নীড় তপোবন স্নিগ্ধ বটের ছায়া,
জ্যোর্তিময়ী দিব্য আলোক
আর বুকেতে মায়া।


ধন্য তুমি মা, তোমার নেইকো উপমা।
তোমার নেইকো
উপমা।


“বাণ”


ফ্যাকাসে বাতাস পান্ডুরে মুখ আগুনের বারিধারা,
শঙ্কিত প্রাণ রক্ত সোপান
গনগন করে ধরা।
জলন্ত আঁখি হায়েনার চোখ বারুদেতে ঠাসা বীজ,
তছনছ করে হুল্লোরে মেতে
শত কত রজসিজ।
প্রাণ তনু কায়া মর্মরে তান বাগিচায় নাই বাস,
লেহনেতে মাতি রতি কাম অতি
দানবতা নেয় শ্বাস।
রুদ্রবীণাতে প্রলয় নাচন প্রক্ষেপিত বাণ,
স্থল চর বায় মরুৎ বেগেতে
দিকে মাতে শয়তান।
রাষ্ট্রের প্রীত হিংসা সোপান বিভেদতা সন্দেশ,
দাবদাহে প্রাণ গরল সমান
রক্ত নদীর দেশ।
এসেছে সে পল গড়িতে সে দল কৃপাণ ধরিতে হাতে,
শ্রুভ্র ধবল শান্তির গীত-
সমন আজিকে
প্রাতে।


“খাজনা”


উদগ্র লেলিহান শিখা করাল পূতিময় বাতাস
সিংহাসনে রক্তের জেল্লা অশ্রুসিক্ত মেদিনী।
মাৎস্যন্যায় অন্ধকারে পথের নিশানার খোঁজ
মধ্যযুগীয় বর্বরতায় পরিযায়ী মানুষের ঢল।
চিল শকূণ হায়েনা্র দল উল্লাস নৃত্য,
নিতম্বে চাবুকের হুঙ্কার নিম্নাঙ্গে রক্তের ঢল
বুলবুলিতে ধান খেয়েছে খাজনা দেব কী'সে!