“ঊষার আলো”


দুর্গম গিরি কান্তার মরু দুস্তর পারাবার,
হাল সে ধরেছি তোমারি বাণীতে
নাহি কিছু হারাবার।
হিংসার বান রণেতে প্রকাশ-আকাশ আঁধার কালো,
বৈঠা মাঝি হাল ছিঁড়িছে-জ্বালাও
ঊষার আলো।
মন্দির নয় মসজিদ নয়-নয়নের বারি রেখা,
আজিকে তোমায় স্মরণেতে প্রাণ
দাও গো মসিতে দেখা।
ঘন রব কালো মিটাতে নিশান-ধ্বজা ধরিতে প্রাণ,
লিখে দাও আজ মসিতে আমারি
মানবতা জয়োগান।
রক্ত সাধিতে ভক্তির গীত-অনন্ত ফরিয়াদে,
মুষ্টিতে প্রাণ দাও সে সাহস
ভাঙিতে সে গড় বাঁধে।
হিংসার বাণ রণেতে প্রকাশ-আকাশ আঁধার কালো,
বৈঠা মাঝি হাল ছিঁড়িছে-জ্বালাও
ঊষার আলো।
দুর্গম গিরি কান্তার মরু দুস্তর পারাবার,
হাল সে ধরেছি তোমারি বাণীতে
নাহি কিছু হারাবার।


আজ সংবাদপত্রে দেখলাম, "নিজেদের মধ্যে বার্তা বিনিময় করতে লস্কর-ই-তৈবা নতুন ধরনের মোবাইল হ্যান্ডসেট তৈরি করেছে, যা ট্র্যাক করতে পারছেন না গোয়েন্দারা। হ্যান্ডসেটটি বানিয়েছে হাফিজ সঈদের নেতৃত্বাধীন আল মহম্মদিয়া স্টুডের্ন্টস-এর শিক্ষার্থীরা। এরপর কোনোও একদিন শুনব তারা নিউক্লিয়ায় ওয়েপন বানিয়ে ফেলেছে। সেই পরিপেক্ষিতেই এই লেখা।


“অভাব”


সবার উপরে বিবেক সত্য তাহার ওপর নাই,
আজিকে ধরায় প্রান্ত প্রদেশ
বোধের অভাব ভাই। বোধের অভাব ভাই।
লুন্ঠনেতে রাষ্ট্রনেতা গরল বুকে বয়,
স্বর্ণ মুকুট তাজ সে বয়ে
ধ্বংসের গীত গায়। ধ্বংসের গীত গায়।
বিদ্যা আজি ধ্বংসে মাতে সাধন বৈরিতা,
নাই রে কণা মানবতার-কোরান
কি'বা গীতা।
ধর্ম সোপান আল্লার গান-নাই রে মধুর বুলি,
দেশ হতে দেশ দেশান্তরে
মানুষ খেকো বুলি।মানুষ খেকো বুলি।
আর পারাবার রক্ত লহু জাহান্নমের গীত,
জ্ঞানের প্রদীপ আঁধার ঘনায়
নাই রে প্রেম প্রীত।
বিবেক বোধের জ্বালতে শিখা কাব্যেতে সুর গাই,
নিশান পথের দিশায় আলো
ঊষার আলোক চাই।


'শয়তান'


ঊষার আলোক মঙ্গলময় প্রাণের গীতাঞ্জলি,
করাল কালো আঁধার নিশা
দীপ্ত রবে চলি।
তক্ষক রাজ করাল সাজে আকাশ বাতাস চুমে,
শ্বাপদ দেহী হুহুঙ্কারে-লহর প্রহর
ভূমে।
নিঃশ্বাস সে গরলমতি নাদ সে ভয়ঙ্কর,
বিদ্বেষ আর হিংসা বীণে
বহ্নি শিখার দ্বার।
পার করে মা চলতে জানি সাহস বুকে বল,
শক্তিতে প্রাণ ভরপুর মা-ফেলিস নে মা
জল।
জীবন খাতায় লিখতে পাতায় সুখ দুঃখের বান,
নইলে মাগো জানবো কেমন
হয় মা 'শয়তান'।
তাই দুঃখে জল ফেলি নে-আগুন হাতে চলি,
দৃপ্ত রবে শান্তিতে মা-সবল
কথাবুলি।