“দোল”


পাপের ঘরা পূর্ণ আজিকে-অনাচারে দেশ ভাল,
রুধিত পাষাণ দশ দিশা মান
আয়নিত নিশাদল।
গৃদ্ধ আজিকে উল্লাসে মাতে-সরবেতে দশ দিশা,
মর্মরে প্রাণ কেঁদে কেঁদে ওঠে
ঝঙ্কারে তমা নিশা।
তরিৎ বেগেতে হায়েনার দল-অট্টো খলো-হাসে,
বিকটো বিকসো পশুতায় প্রাণ
ক্ষুব্ধ করাল বাসে।
জননীর দেশ ভগ্নীর বেশ-কুপিত করাল রোল,
হায়েনা দল উল্লাসে মাতে
বহ্নি শিখার দোল।
হৃদয় কোমল হৃদ সে ধরি-অশ্রুতে প্রাণ বারি,
ঝড় ঝঞ্ঝা কুপিত বাহেতে
সহিতে হৃদয় নারি।
দে'না মাতে আর অসিতে-আশীর্বাদের বাণ,
ধন্য মাতে মান ধরিতে
মুষ্টি ধরি প্রাণ।


“দরবেশ”


আর ফরিয়াদ আজ করে যাই-ক্লান্ত দেহ মন,
রইবে না আর সইতে প্রাণে
রনং দেহী বাণ।
মানবতার নিশান তলে ধ্বংস হবে রাজ,
আর পৃথিবী এক দিশাতে
গুড়িয়ে দিতে তাজ।
লাজ সে মাতার ধন্য রবে ভগ্নী সহোদরা,
ঊষার আলোক-গান মেতে পাণ
গড়তে সুখের ধরা।
অস্ত্রের রব গগনভেদী-আর না রবে প্রাণে,
কপোত সুখের সুধার বারি
মানবতার গানে।
আর মেদিনী শান্ত রবে দীন হীন নয় বেশ,
শুভ্রতারই আলোক মেখে-হৃদ সে
দরবেশ।
হিংসা দ্বেষের প্রলয় নহে-প্রেমের সুধা বারি,
গাইতে পথে রব সে তুলি-নিনাদ
গগন তারি।


“রাঈ”


হায় হায়, পরান গেল দুঃখে মোর ভরিয়া,
বুল, বুলি তুই গ্যালিস কোথায়
আজ আমারে ছাড়িয়া।
তোর জ্বলনে ছিলাম ভালোই তহন বুঝি নাই,
পরান পাখি ফুরুত আজি
তোর বিহনে রাঈ।
রাধেশ্বরী কুঞ্জবনে আয় না সখী মাথায় রাখি,
ভালোবাসার দীপ জ্বেলে দি
আর না হবে ঠোকাঠুকি।
বুলবুলি রে বুলবুলি আয়না হেতাক সুর তুলি,
আর গগনে উড়তে রে সই
দুঃখ ব্যথা পুরান ভুলি।
বুলবুলি রে বুলবুলি।
তোর জ্বলনে ছিলাম ভালোই তহন বুঝি নাই,
পরান পাখি ফুরুত আজি
তোর বিহনে রাঈ।