“মানুষখেকো”


মানুষখেকো মানুষগুলির রক্তদোষে বানভাসি,
রক্তিম চোখ শান দেওয়া বোল
ঘর ভর্তি দাস দাসী।
শিঙ্গা ফোঁকে দিন দাহারে জিন্দা মারে প্রাণ,
ছল ছলিয়ে ছল ছলনায়
শঠ শঠতার গান।  
হিংসা বীণে ভাসিয়ে ভেলা চন্দ্র ধরে তাপ,
ম্যাডাম আর সাহেব বিবির
আগুনঝরা ভাপ।
কানাই তাদের ভৃত্য সে এক চালায় জুড়িগাড়ি,
সেদিন পথে থমকে দাঁড়ায়
থামিয়ে দিল গাড়ি।
ব্যাপার কী ভাই ম্যাডাম বলে দূর ছাই ভাই চলো,
রাস্তায় প্রাণ বেঘোর এমন
দায় কী তোমার বল?
হাত্ জুড়ে সে কানাই বলে মানবতায় দায়,
নামুন ম্যাডাম জুরিগাড়ি
তারি চিকিৎসায়।
পৌছে তাকে দিতেই হবে হাসপাতালে তড়িঘড়ি,
নইলে বেঘোর প্রাণটা যাবে
ম্যাডাম তোমার পায়ে পরি।
যারপরনাই ক্ষুব্ধ ম্যাডাম দু'চর দিল কষে,
কানাই বলে ক্ষমা করুন
উঠলো ফুঁসে রোষে।
আর স্কন্ধে আর্তে তুলে দৌড়ে ভাগে সে,
হাসপাতালে পৌছে তাকে
বাঁচায় প্রাণেতে।
আর সে পথে মাড়ায় নি সে বাবুর জুড়িগাড়ি,
কানাই তোমায় সেলাম করি
দু'কর জোড় করি।


“পরিণতি”


অনন্ত ফরিয়াদ, বিশ্বজননী-অম্বুদে ভরা আঁখি,
প্রশ্নের বান বিমূঢ় সে তান-কেন! কেন! কেন!
আজি এ করুণ পরিণতি।
মানবতা নাই সিক্ত ধরায় রিক্ত উদার কথা,
নাই ক্ষমা নাই, নাইরে প্রীতি
ব্যর্থ নীরব গাঁথা।
প্রাণ প্রতিমায় রক্ত ঝরা ব্যর্থ প্রেমের গ্লানি,
চৌদিকে রব কান্না ঝরা
আর ছলনার বাণী।
তাক দুমা দুম বাদ্যি বাজে মাদল বাজে রণ,
থর থর থর কাঁপতে ধরায়
হানতে মরণ পণ।
পাল ছিঁড়ে যায় বৈঠা ভাঙা বৈতরণীর পার,
হাল ধরিতে নাই মাঝি নাই
কে টানিবে দার!
ধ্বংসনিশান চল রুধিতে আগুন সে দল গড়ি,
সাধ্য না হয় পণ সাধিতে
মুষ্টিতে প্রাণ ধরি।


“কাঁঠাল কান্ড”

সেদিন দুপুর কান্ড বড় খোকা গেল কই,
রব উঠেছে ছেলেধরা, কাঁদছে রে
তার সই।
এদিক সেদিক এখর ওঘর-বাড়ি বাড়ি খোঁজ চলে,
জাল নিয়ে জল ছাঁকতে কাকা-চলল রে ভাই
পুকুর জলে।
নাই তো খোকন দশ দিশাতে থানা পুলিশ খবর যায়,
হাসপাতালে খোঁজ নিতে ভাই-অনেক লোকে
দৌড়ে যায়।
নাই তো কোথাও কাঁদছে মা তার ফিট হলো তার বাপ,
হটাৎ করে ধুরুম আওয়াজ
খোকন দিছে লাফ।
লম্ফ দিয়ে নামলো সে'তো কাঁঠাল গাছের ওপর হতে,
চক্ষু সবার ছানাভরা-ব্যাস্ত খোকন
কাঁঠাল খেতে।