“বিদ্রোহের গান”


উদিবে ঘূর্ণি প্রলয় লীলায় উড়ায়ে পথের ধূলি,
রুদ্রবীণাতে ঝঙ্কারে প্রাণ-বিদ্রোহ সুর
তুলি।
চুর চুর চুর ভাঙিতে পাষাণ-অন্ধ শতেক প্রাণ,
ক্ষুব্ধ হিয়ায় তরিৎ সে বেগ
বিদ্রোহেরই গান।
উব্ধে তুলি শির সে মাতে মানবতার বুলি,
ভয় নেই মা পাষাণ বেদি-গনগনে
সুর তুলি।
লকলকে জিভ সিংহদুয়ার ভাঙতে সে গড় মাতে,
কাস্তে কুড়াল আর অসি মা-ধরবো রে
দুই হাতে।
হীন নই মা সবল মোরা করতে জানি রণ,
সাহস বুকে জ্বালিয়ে প্রদীপ
আর ধরিতে পণ।
কৃপাণ হাতে আজ সে প্রাতে দে না আমায় মা,
কাঁপবে না মা মারতে সে ঘাত
করিস নে মা ক্ষমা।
দস্যু দানব মতির মাগো জ্যোর্তিময়ী ভূম,
আর তোমারে আর্ত করে
আর্তনাদের ধুম।
আর পারি নে স্কন্ধে দে মা মিটিয়ে দিতেই রাজ,
তাজমহলার প্রেম গড়িতে-
ধরতে দেশের লাজ।
চুর চুর চুর ভাঙিতে পাষাণ অন্ধ শতেক প্রাণ,
ক্ষুব্ধ হিয়ায় তরিৎ সে বেগ
বিদ্রোহেরই গান।বিদ্রোহেরই গান
বিদ্রোহেরই গান।


“সপ্তপদী”


রঙ্গমতির কারখানাতে সপ্তপদী হৃদ সে দোলে,
দোয়েল কোয়েল শালিক বাবুই
বিভিদ সুরে নানান গলে।
আঁধার তমা উজল ধারা-ঊষার আলোক হৃদয় মেতে,
স্বর্ণ কমল ঢেউ খেলে যায়
ক্ষেত্র হরিত বর্ণ ক্ষেতে।
দক্ষিণে প্রাণ মিলন সাগর উত্তরে হিম বাস,
হাজার প্রাণের মিলন মেলায়
বিভিদ রঙের চাষ।
অশ্রু কোথাও গরল মতি, হিংসা কোথাও দ্বেষ,
ধর্ম কোথাও হানতে আঘাত
বক ধর্মীর বেশ।
লিখতে গাঁথা হাসতে কভু শান্তি মধুর বোল,
হৃদয় কভু অশ্রু ঝরা, আর দ্রোহেতে
দোল।
রঙ্গমতির কারখানাতে সপ্তপদী হৃদ সে দোলে,
দোয়েল কোয়েল শালিক বাবুই
বিভিদ সুরে নানান
গলে।


“চাহিদা”


সভ্যতার শিখরে এভারেস্টের জমাট বাধা হিমশৈল,
আন্টার্টিকার বরফ জমা সাগর।
টাইটনিক রোজ ধাক্কা খায় শৈল শিরায়,
ছড়িয়ে ছিটিয়ে লাসের সারি।
মনে পরে প্রায় দশ বছর আগে
আমার গিন্নিকে আমি একটা ভুল কথা বুঝিয়েছিলাম,
অন্ততঃ ২০ জনের মৃত্যুর খবর
সংবাদপত্র যদি না ছাপতে পারে প্রতিদিন তবে,
সে সংবাদপত্রের লাইসেন্স ক্যান্সেল হয়ে যায়।
দুর ছাই কী লিখে যাচ্ছি যা তা
চাহিদা এখন অনেক
বেড়ে গেছে।