“সিন্ধু”


বিন্দু বিন্দু বারিতে গড়িতে সিন্ধু-একাকার জলে,
তুচ্ছ ভাবিছো যে কণা সম
দরিয়াই গড়ে তোলে।
বালি কণা রাশি ক্ষুদ্র সে অতি মরুপ্রান্তর গড়ে,
নাই কণা তার বারিকো সুধা
নাই রে তেপান্তরে।
প্রাসাদ গড়িতে পুঞ্জ পুঞ্জ খন্ড খন্ড ইটে,
নগর গড়িছে নাগরো নধর
গড়িছে দালান ভিটে।
আর দ্বেষেতে হিংসার বাঢ় পাপ সে কণা অতি,
গড়িতে সিন্ধু প্রমাণ সম-দানব
মহামতি।
গাহিতে গীতি পথে পথ ঘুরি মানবতা ওহে শোনো,
জোড় করেতে বিনীতে নিবেদী
জ্ঞানের প্রদীপ
জ্বালো।


“সন্দেশ”


আমি দেখেছি দুঃখের বান পদে পদে প্রতি পলে,
আমি দেখেছি ঘন তমা রাত নিশিথ আঁধার;
নিশানেতে দ'লে দ'লে।
শৃঙ্খল নাই কুপিত সমাজ গৃদ্ধের কলোরোল,
দিকে দিকে আজ ধ্বংসের গান-
হিংসা দ্বেষের বোল।
আমি দেখেছি নয়নের জল হায়েনার উল্লাসে,
আমি দেখেছি অশ্রুসজল-
নিয়তির পরিহাসে।
দীর্ণ প্রাণেতে হাহাকার রব ব্যথিত শ্রুভ্র বেশ,
কেঁদে ওঠে প্রাণ বিরহের গান
মৃত্যুর সন্দেশ।
এসো আজি গাই শান্তির গান পথে পথে যাই গেয়ে,
রুধিতে করালো কুপিত নিশান
ঊষার আলোক বেয়ে।
শৃঙ্খল নাই কুপিত সমাজ গৃদ্ধের কলোরোল,
দিকে দিকে আজ ধ্বংসের গান-
হিংসা দ্বেষের বোল।


“মৃত্যু”


আমার কাছে অমরতা লাভের মন্ত্র আছে।
মিছে নয় একদম সত্যি। শুনতে চাও?
তবে শোন সে টেকনোলজির গল্পঃ-
মস্তিস্কের একটি স্টেম সেল নিয়ে
ল্যাবরেটরিতে পুরো মস্তিস্কের ক্লোন তৈরি করা হবে,
আর তারপর রোবটিক খুপরিতে ভরে দেব সে ব্রেন,
ব্রেন থেকে যে নিউরোন গুলি সারা শরীরে বার্তা প্রদান করে,
সেগুলি জুড়ে দেওয়া হবে সে সকল ইলেট্রোওয়েব বহনকারী
পাল্পের সঙ্গে যা জাল বুনে থাকবে রোবটিক অঙ্গ প্রত্যঙ্গে।
রক্ত সরবরাহ ব্যাবস্থা একটা থাকবে,
তবে তা শুধুমাত্র পাম্পের সাহায্যে মস্তিস্কতে
অক্সিজেন যোগাবার জন্যে।
শুধু সমন্বয় সাধনকারী ইলেকট্রনিক পাল্পগুলি বানাতে দাও আমায়।
তারপর! তারপর মৃত্যু কথাটা
অভিধান থেকে মুছে দেব।