“স্বাধীনতা (ব্যঙ্গ)”


কে কইছে নাই কত্তা
বাস ট্রামেতে আছে তো!
পথে ঘাটে পুকুর পাড়ে,
পাট ক্ষেতেতে হচ্ছে
তো!
যখন তখন যেমন খুশি
অবাধ স্বাধীনতা!
চেংরি বুড়ি পোলাপানও-
নাই ছেড়ে কেউ কইছে
কথা।
লুট মার ধন চোখ রাঙানি
খুন জখমেও বাধা নাই!
অবাধ স্বাধীন বঙ্গদেশের-
স্বাধীনতার বাঁধ
নাই।


“স্বাধীনতা (প্রতিকার)”


হেই কথাটা কী যে কই
ন্যাপায় মারে দই,
দীন দুঃখী গরিব জনা
স্তব্ধ কেন
রই।
রইতে প্রাণ, প্রাণ পণেতে
ঝাপায় কেন পরি না!
অস্ত্র হাতে বজ্র শপথ
লইতে কেন পারি
না!
দুই চাইর খান মুন্ডু ঘচাং
হা হা রবে ফুঁ'টা দিলে,
পাইরবে কী আর খাইতে ওরা
স্বাধীনতার তাবিজ
গুলে।


“স্বাধীনতা (আহ্বান)”


মন মনন যদি সুস্থ না হয় তাহলে
বিপ্লবের কথা চিন্তাই করা যায় না,
তবে পাঁকেই পদ্মফুল ফোটে।
নিকৃষ্ট থেকে নিকৃষ্টতম পর্যায়ে
আলোর দিশারী হয়ে জেগে ওঠে কেউ,
স্লোগান তোলে বিপ্লবের
আর তার ধার আর ভারে
জেগে ওঠে দেশ জাতি
মন মননে ঘুমিয়ে থাকা
মনুষ্যত্বের ঠিকানা।


চল আগুয়ান হ'রে জওয়ান      মা'র মর্মর সোপান তলে,
         চোর লুটেরা        গুন্ডারাজে, রাজ
            রাজাকার ধ্বজা তোলে।
   স্বাধীনতা অস্তাগত          প্রাণ শহীদের বীর বলিদান,
         শৃঙ্খলে আজ        বাজতে সে বীণ
          বইছে রে ভাই রক্ত তুফান।


           রক্ত তুফান, রক্ত তুফান,
                রক্ত তুফান


হীন মনেতে ভুললি কী আজ       স্বাভিমানের দম্ভগাঁথা
         রক্ত কী আজ        শীতল বহে-
              সইতে শতেক মর্মব্যথা!
রক্ত কী আর ঢেউ তোলে না       মা বোনেরই ইজ্জত আর,
          নাই ফরিয়াদ        নাই রে মান
              ফিরতে ঘুরে আরেক বার।


              ফিরতে ঘুরে আরেক বার
                ফিরতে ঘুরে আরেক
                     বার


অস্ত্র হাতে তোল রে সবে          শোণিত তলে আয় মেদিনী,
          অশ্রুমোচন          অন্ত রে প্রাণ
             দাবানলের বীজটি বুনি।
শৃঙ্খল আজ ভাঙতে মাতার         চল আগুয়ান চল রে চল,
         ফরিয়াদ আজ         গগন ধরি
             চল রে গড়ি আগুন দল।


              চল রে গড়ি আগুন দল
                চল রে গড়ি আগুন
                     দল।