"সন্দেশ"


** ইয়েমেনে বিয়ের অনুষ্ঠানে সৌধি যুদ্ধবিমানের বোমা বর্যণে গনহত্যা ও তার পরে একটি শিশুকে তার বাবার মৃতদেহ থেকে ছাড়ানোর ব্যর্থ প্রচেষ্টা।


আকাশ হারালো বেদনায় প্রাণ সুবাস হারায় বায়ু,
দাবদাহে তার বোমার ঘায়েতে
অস্ত প্রাণের বায়ু।
শিশুপ্রাণ তার অজ্ঞান মন বোঝে নাই পিতা তার,
ফিরিবেনা আর ধরনীর কোল
দু'টি হাত ধরিবার।
ক্রন্দন রোল আকাশে ছড়ালো বেতারে বিশ্ব মাঝে,
দুচোখ অঝোরে ধারা বয়ে যায়
শরম দুঃখ লাজে।
মানুষের দেশে মানুষের ভেষে শয়তানে রাজ ধরা,
কম্পিত বুক হয়না পরান
লৌহ কপাটে গড়া।
চকিত বাঢ়েতে বোমারি আঘাতে কেড়ে নিতে শত প্রাণ,
হায়েনার রবে উল্লাসে মেতে
দিকে দিকে শয়তান।
ওঠো জাগো জাতি সবে ভুলে সে ধর্মের ভেষ,
মানবতা রাজ গড়িতে ধরা
চলো দেই সন্দেশ।


"শয়তান"


(২৫-০৪-২০১৮ তে নাবালিকা কন্যার প্রতি ব্যভিচারের বিরুদ্ধে ন্যায় মেলে)।
"আশারামের " আজীবন জেল। বাকি দু'জনার ২০-২০ বছরের জেল।
দশ হাজার কোটি টাকার (আশ্রম-৪০০) সম্পত্তি।
১৪ টা আই, পি,সি , ধারায় দোষী পায়।
৪৪-সাক্ষী, তিন-সাক্ষীর হত্যা করা হয়, অনেক কে আহত করে
৫-ঘন্টা ধরে বাদ প্রতিবাদ চলে, যোধপুর সেন্ট্রাল জেলে কড়া পাহারায় অস্থায়ী কোর্টে বিচার শেষ হয়।


সাধুতার ভেষে লুন্ঠনে মেতে রঞ্জিত কারবার,
ভক্ত লুটায়ে ভক্তির দায়ে
বঞ্চিত বার বার।
দরবারে তার ভক্তির গীত দরোগায় দরবেশ,
আড়ালে তাহারি সুধা ঝরা প্রাণ
কামাতুর পরিবেশ।
লক্ষ পূজারী রক্ষ পুরেতে বোঝে নাই আশ ভাষ,
জাহ্নবী প্রাণ লিপ্ত দূষণে
কাম দেবতার দাস।
অঞ্জনে প্রাণ সিক্ত তমাতে ধন লোটা শয়তান,
মঞ্জিল গড়ে শঠতায় মতি
মিথ্যা প্রেমের গান।
ছলনায় মাতি শৃঙ্খলে বাঁধে লিপ্ত সঙ্গমেতে,
ধর্ষণ আর খুন খারাবি, আঁধারেতে
ফাঁদ পেতে।
হর্ষেতে আজিকে মাতিলো পরান নৃত্য অন্তরে,
শয়তান তার সাঁজা দিল রাজ
রুদ্ধ কারার প্রান্তরে।


"কাজের মাসি"


ব্যাবাক দুখ মাই দিলি রে, কাম মানে নাই ভুক,
দুসরা বউ গলায় জুলায়
ফান্দে ফ্যালায় মোক।
দুইডা পোলা একটা কোলে-বিবেক তোর হুশই নাই,
ক্যামন বাপ জুলায় গলায়
ভাবলি না'রে ক্যামনে
খাই।
বাপটা মোর রিক্সাবালা-ঘর চলে না তাইর,
ক্যামনে রে বাপ-তার ঘরত
পোলা লইয়া জাই।
পোলার কাঁদন খাবার নাই-চোক্ষে আসে জল,
ক্যামনে দিব খাবার অদের
দুই মুট্টি বল।
গতরখানি খাটাই তাই এই বাড়ি ওই বাড়ি,
কাজের মাসি তাই হনু রে
ব্যাবাক কাম করি।
পোলায় দিব শিক্ষা রে মুই সভ্য বানাইমু,
তার বউ জ্যান এমন না হয়
হেইডা শিখাইমু।