(প্রিয় কবি মূলচাঁদ মাহাত মহাশয়ের প্রচেষ্টাতে অনুপ্রাণিত হয়ে আমিও বিখ্যাত শিল্পী মান্না দে'র "কফি হাউজের আড্ডাটা আজ নেই", গানটির প্যারোডি গান লিখবার প্রয়াস করলাম।যে কেউ গানটিকে সুর দিয়ে গাইতে পারেন।)


“পুরানো সেই কলমটা আজ আর নেই”


পুরানো সেই কলমটা আজ আর নেই, আজ আর নেই..
কোথায় হারিয়ে গেল পেনে লেখা দিনগুলি সেই......
আজ আর নেই। পুরানো সেই কলমটা......
আজ আর নেই।


খলিলুর রহমান, শাহানারা মশিউর-তারা রোজ পাতাতে,
দিন রাত কাল ধায় আসরের সঞ্জয়
কী যেন কী লিখে চলে    
গাঁথাতে।


কাকে যেন ভালোবেসে কানাই-এর রঙ-এ বেশে
লিখে যায় রেঁনেসায়, আধুনিক তাল লয়ে আর লিখে যায় খুব
সুমিত্র দত্ত রায়।


রীনা রায় আজ শুধু সবচেয়ে আগে থাকে প্রেমেতেই মসগুল লেখা তার,
রোজ রোজ লিখে চলে ভালোবাসা প্রেম গ'লে
প্রেমেরই মোক্তার।


তরুনের কান্তিতে বিপ্লবে তাল ঠুকে সশব্দে খোলে দ্বার,
ব্যানার্জি পারমিতা আর সেই তমালেতে
ডালিতেই মনিহার।


কলেজের মেয়ে, বৃষ্টি মন্ডল-জে আর এগ্লেস-আসরেতে বেশ ভাল লেখা লিখত
আর চোখভরা কথা নিয়ে নির্বাক স্রোতা হয়ে,
সঞ্জয় কী লিখেছে তাই শুধু পড়তো।


আসরেতে গানে মেতে বহু কলি গীত লেখে-মনিরুজ্জামান।
কালি পেন নিব নেই, কি-বোর্ডেতে লিখে চলে-
গোলাম রহমান।


দিন রাত ডায়েরিতে পেন তুলি নিব নিয়ে
সিগারেট শুধু মুখে জ্বলত,
বকা ঝকা গাল খাওয়া-দিবানিশি তবু-
লেখাঝোকা খুব চলত।


পুরানো সেই কলমটা আজ আর নেই, আজ আর নেই
কোথায় হারিয়ে গেল পেনে লেখা দিনগুলি সেই......
আজ আর নেই। পুরানো সেই কলমটা......
আজ আর নেই।


রোদ ঝর বৃষ্টিতে আকাশটা যাই থাক
পড়া ছেড়ে প্রাণ জুড়তাম,
পেন নিবে কালি ভরে আর খাতা ভরে ভরে
কবিতাটি লিখতাম।


কবি কবি চেহারাতে অরিজিত ভাল ছেলে
ম্যাগাজিনে লেখা তার নামটা, কবিতাটি তার নয়,
লিখেছে সঞ্জয়-তাও নিত ফেক
দামটা।


সেই পেন নেই আজ ডায়েরিটা তবু আছে
কোনোও পাতা তার খালি নেই,
একই সে বাগদানে ফুটেছে নতুন কলি
শুধু সেদিনের পেন কালি নিব
নেই।


কত স্বপ্নের ঢেউ ওঠে এই আসরেতে
কতনা প্রেম-সে তো ভেঙে যায়,
কতজন লিখে গেল কতনা লিখবে আরোও
আসরটা শুধু রয়ে
যায়।