“সত্য সেলুকাস”


সত্য সেলুকাস, কী বিচিত্র এ দেশ। ধান্দাবাজীর নাই শেষ। ছিঁচকের নাই গতি রাঘবেরা করে ক্ষতি। ক্ষিতি সম তেজ যে তাদের-নাই তোয়াক্কা বিচার ফাঁদের, আকাশেতে গড়াগড়ি, নাই নাই নাই-নাই হাতকড়ি, তারা নট নটবর রাজন্যদের ভীষণ ভীষণ দরকারী।


আর দেরি নাই জাগবে আকাশ-বাতাস সাগর ভূম,
জাগবে দলে আগুন তলে-
বিদ্রোহেরি দ্রুম।
আকাশ যারা গড়তে সে গড়-গরিব জনায় শোষে,
পালতু বানায় রাজন দিগে-
চরণ তলে পোষে।
মারতে বাড়ি চল রে গড়ি-দল সে আগুনের,
হোম দিয়ে চল পুড়াই সে গড়-
বাস সে ফাগুনের।
কলকে হাতে যারাই হাঁটে-হাট্টি মাটিম টিম-
চলরে ওরে ধরাই তাদের-
আজ সে ঘোড়ার ডিম।
ডিং ডিঙা ডিং ভাবছে যারা-আর্ত গরিব জন,
ফাল দিয়ে আজ-চল রে ফাড়ি-
কাড়ব তাদের ধন।
লোলুপ শিখা ধন রাজের-ই দিতেই আজি ছুট,
চল রে অনল বঙ্গ তনয়-চল রে
দেবদূত।
সাম্যতারই গড় সে গড়ি রব সে একতার,
বঙ্গ সে দেশ বীর সে জাতি
রব সে জনতার।


“কপাল”


কপাল গুণে এই ফাগুনে বর্ষা তার কামাই নাই,
সাধছে যে নদ পায়ে পরে করছে ভায়া খাই খাই!
ভরা জোয়াল উছল গাঙে
ঘর দোর ভাই ভাঙছে বানে,
ঝড় তুফানে হরপা বানে বলুন দাদা কোথায় যাই!


নেতা দাদায় বলছে সবে চিঁড়ে গুঁড়ে সে ভোজ হবে,
আম আদমি বন্যাতে প্রাণ-জবরদস্ত ত্রাণ সে দেবে।
ত্রাণ সে বিলি কানাই বেঁচু
সব গিলে নেয় দিল কচু!
ভাবছি এবার ঘর পরিবার-বানভাসি প্রাণ কী হবে!


অজয় গ্রামের লাকড়া কানু গান ধরে নেয় একতারা ঐ
নেতার নামে গুষ্টি মেরে-বলছে ত্রাণের টাকা কই!
কী আর হবে এসব ভেবে
গাল দিয়ে ভাই নেতা সবে,
নাগাল কী আর হাত পাওয়া যায়, এরা সবাই রাঘব রুই।


“প্রতিভা”


প্রতিভা পদ্মপাতায় জলকণার মত, দেখতে সাধারণ জল হলেও, মুক্তো ছাড়া আর কিছুর সাথেই তার তুলনা করা যায় না।


আমি দেখি সে কনকরাজি পুষ্পেতে দল দল,
আমি দেখি সে শিশির কণা-
মুক্তোরাশির ঢল।
কষ্টিপাথর অনেক ঘষেছি চকচকে রঙ ভুলে,
পাইনি সে দল সোনার বাড়ি-
পাষাণ কঠিন তলে।
যেমত হীরে সুপ্ত থাকে গুপ্ত কালোর কন্দরে,
তেমত সে দল লুকিয়ে থাকে-
ভব সাগরের বন্দরে।
সেদিন সে রব উঠতে ধরায় গুপ্ত বীজের অঙ্কুরণে,
জাগতে সে দিন ধন্য রবে-
লক্ষ প্রাণের জাগরণে।
বরণ ডালায় সে দিন ফুলে মালায় সমাদর,
শতদলের দল দলেতে-
সেদিন গড়ে গড়।