“পেটুক”
(সারমর্মঃ যে কামায় সে বোঝে)


ভোলার পেটে তিল একখান ভুড়ির ওপর আঁকা
সবাই তারে পেটুক কয়-না খেয়ে যায় থাকা!
তিন সের চাল মাংস কষা
গন্ডা রুটি কাঁঠাল রসা,
এইটুকু তো খাদ্যখাবার, বাপ কয় ট্যাক হ'ল ফাঁকা।


“সেয়ানা ঘুঘু”
(সারমর্মঃ চোরের বার বার গৃহস্থের একবার)


নিখিল বাবু মস্ত বড় ব্যাঙ্কের এক ম্যানেজার
মস্ত বড় দালান বাড়ি-গাড়ি যে তার চার চাকার,
সেদিন হ'ল কান্ড বড়
ব্যাঙ্কেতে লোক হ'ল জড়,
সই দিছিল ঘুষের টাকায়-সি বি আই এর অফিসার।


“প্রাণপাখি”
(সারমর্মঃ শালীনতার সীমা অতিক্রম করা অসামাজিক, জীবনে ধ্বংস ডেকে আনে)


কানাই ছিল ভাল ছেলে-প্রেম ছিল তার সাচ্চা
পা পিছলে হটাৎ করে রাধার হ'ল বাচ্চা!
জবর খবর রটলো দিকে
কুমারী মেয়ের বাচ্চা দেখে,
কী যে করে দিশেহারা, প্রাণ দিল সে গচ্চা।


“গড়াগড়ি”
(সারমর্মঃ আজকাল মেয়েরা ধন খোঁজে, মানুষ নয়)


ওগো নিরুপমা আর সহেনা, বাসবে কী গো আমায় ভালো
করবে কী আজ বাসর তলে আমার ঘরে স্নিগ্ধ আলো,
তোমার প্রেমে খাচ্ছি খাঁবি
ঘুম নাই চোখ রাত গুলাবি,
নইলে তো প্রাণ ফাঁসির দড়ি, করব আমার জীবন কালো।


ছাড় দেখি তুই প্যানপ্যানানী খ্যাম তো নাই কামাবার
সখ তো ভাল আমায় চাস-নিয়ে যেতে তোর চালাঘর!
তুই ফাঁসি দে ডুবেই মর
আস্ত গোয়াল তোর ওই ঘর,
থাকব সুখে চাঁদের হাটে ওই গাঁয়েতে হবু বর। ।


ধন নাই তো কী এসে যায় ভালোই যদি আমায় বাসো
হৃদয় প্রদীপ জ্বালিয়ে পরান যদি আমার ঘরেই আসো,
প্রেম দিয়ে সই রাখব সুখে
থাকব রে সুখ-সাথে দুখে,
নখরা তো সই অনেক হলো, এবার আমায় ভালোবাসো।


কী নাই তার জুড়ি গাড়ি মস্ত খামার বিশ বিঘারই
পুকুর সুকুর গাই ভহিষে মস্ত দুধের কারবারী,
তুই নেশা ভাং করিস না তাই
এই খুশিতেই তোর ঘরে যাই!
মাতাল সাতাল হোক না যতই, তাও তো ধনের গড়াগড়ি।


“ধর্ষণ”
(সারমর্মঃ কাম বিকৃতিতে একটি রোগ, এ রোগে ছেলেরা পাগল হয়ে ওঠে, কামুক শরীর খুলে তাদের কাছে না যাওয়াই শ্রেয়)


সেদিন বিকেল তন্বী নারী রূপ জৌলুস যেন পরী
অঙ্গ তারি কামুক অতি-মুক্ত বরণ বক্ষ তারি!
জগাই মাধাই পাগল হলো
সব ভুলে খায়-ডুব দিলো,
পাটের ক্ষেতে রক্ত ঝরে, লাস দিল তার গড়াগড়ি!


“ঘরকন্যা”
(সারমর্মঃ যে জন স্ত্রীর গালমন্দ হজম করতে পারে না তার ঘরকন্যা হয় না)


আরে দাদা এমন কেনে! বলতে আছে মানা
শুনলে পরে ভাঙবে হাড়ি বাজায় দিবে গানা!
হুতুম প্যাচার মতন থাকা
করবে না ভাই চক্ষু ব্যাকা,
জীবন নরক বলছি হবে, ধরিয়ে দেবে ধামা।


মানছি ওদের অনেক দোষ-দিন রাতেতে গাল দেয়
তাও কী আর ছাড়তে ওদের, বেশ তো ঘরে হাল দেয়,
হারিয়ে গেলে বুঝবে ঠ্যালা
রসুই ঘরে পরবে প্যালা,
তাই বলি কী চুপটি থাকা, বেশ ভাল রঙ কাজ দেয়।


আমি আবার ঠোঁটটি কাঁটা এসব হিসেব পারি না
যখন যা আসে মনে-বলতে আমি ছাড়ি না,
তাই তো আমার জীবন কালো
একটুকু নাই বলছি ভালো,
নাই ভ্রমরের গুঞ্জন আর, ঘরকন্যা করি না।


“অধিকার”
(সারমর্মঃ শালীনতার সীমা ছাড়ালে ঘর ভেঙে যায়)


অঙ্গ দুলায় বঙ্গ রানী, হাই ফ্যাসন আর হাই হ্যালোতে
হাগ দেয় সে পর পুরুষে-অধিকারের বল দোলেতে!
মাস দিন রাত বছর কাটে
ঝুট ঝ্যামেলা ঝগড়াতে,
আর কী হয় ঘর দরবার, খান খান হয় কোর্ট তলেতে।