“বাড়ি”
একটা বাড়ি সুখ দুঃখের সাথী
কভু ব্যথায় ব্যথায় মন কভু
আনন্দ ভাতি।
প্রভাতিক সঙ্গীত শার্সিতে হেসে ওঠে আলোর কিরণ,
আলো ঝিলমিল বিতান গুল্ম লতা
হেসে ওঠে বাড়ির প্রতিটি
কোণ।
বাবুর জন্মদিন মামনীর মুখে ভাত
আত্মীয় স্বজন বন্ধু পরিজন
বাড়িতে বসে চাঁদের হাট।
ঘন কান্নার রোল বেদনায় ভরে মন
বাড়ির প্রতিটি ইঁটে লেখা হয়
মৃত্যুর শমন।
একটা বাড়ি! একটা বাড়ি।
একটা বাড়ি সুখ দুঃখের সাথী
কভু ব্যথায় ব্যথায় মন কভু
আনন্দ ভাতি।
"পারাবার”
আকাশটা নিভু নিভু আলো ছায়া খেলা চলে,
মেঘ ঘন রোদ্দুর মন নাচে
দোলাচলে।
আনমনে গেঁথে চলি কথকলি গীত গাই,
জীবনটা ভেবে চলি ধূপ ছায়া
রোশনাই।
ঘন কালো ঢেকে যায় হৃদাকাশে ফোটে তারা,
অশ্রুতে বেদনাতে কভু হই
দিশেহারা।
অনলের ঘেরাটোপে ভাবি মন সংসার,
সার নাই কিছু তায় থৈ থৈ
পারাবার।
প্রভাতের স্নিগ্ধতা খান খান হয় রবে
অনন্ত চাহিদাতে শতধায় বিকশিত
ব্যথা পাই অনুভবে।
মেঘ সরে যায় ঘন রোদ্দুর ওঠে ফুটে,
বরষার অবসানে প্রশান্তি
চারিভিতে।
ধূপ ছায়া রোদ্দুর জীবনেরই কথাকলি,
ভাবি তাই আনমনে কবিতায়
লিখি বুলি।
“খাজানা”
রনি বনি ঘুরছে মাথা কানু ভানু কই,
পাবদা মাছের পাতলা ঝোলে
সর্সে বাটায় কই।
বকরা আলু লালুর বাপে কড়াই ভরা তেল,
নয়না পাড়ার ময়না ফিঙে
ইলিস মাছের ঝোল।
টোপর মাথায় মিঁয়া বাবু ভালুক নাচে গোল,
হটাৎ কেন হচ্ছে রে ভায়-এমন
শোরগোল!
টাকি মাছের অম্বলেতে পিঁপড়ে সারি সারি,
রুই কাতলা গেল ভেসে-শোরগোলটা
তারি।
তাই বলে কী তাই বাজাবি বগল বাজা না,
পদ্ম পুকুর রাজার সে ধন-
সত্যিকারের খাজা-
না।