১ “স্বামী”


ধরন ধারন বাতিক তারি বাহির পানে ধায়
ঘরের মধুর বঁধুখানী ভাল্লাগে না তায়!
ইস্টি কুটুম মিষ্টি কুটুম
তার তরে সে বকম বকম,
পাড়া পরশি বৌদি পেলে, আর কে তাকে পায়!


২ “বাল্য বন্ধু”


কানাই জগাই দুই বন্ধু ইন্দু রানীর প্রেমে
ডান দিকে গেলে কানাই-জগাই যায় বামে!
প্রেমের হাওয়া মিঠাস অতি
মার জখমে পায় যে গতি,
বাল্য কালের বন্ধু যে হায়, প্রেমের নাচে থামে।


৩ “বাসন্তীর মা'র রান্না”


গরম কালে প্যাচপ্যাচে দিন ভাত খেতে মন নাই
কানাই বলে মাংস কষা রুটির সাথে খাই!
বাসন্তীর মা রুটি বানায়
ছ্যাকড়া আটা বেছে ধামায়,
দর দর ঘাম আটা মাখে, জল লাগেনা ভাই।


৪   “ওস্তাদ”


ভোলা গুপী দুই ওস্তাদ পাড়া কাঁপায় নানান রঙে
তারি সাথে পাগলা ভোলা সাঁজে নব নব ঢং-এ,
সেদিন হ'ল মস্ত ব্যাপার
জ্বর হলো ওই গাঁয়ের ট্যাপার,
নাই টাট্টু নাই তো জুড়ি, ঠিক হ'ল সে ভোলার রঙ-এ।


৫   “আর্তনাদ”


হায় রে হায় পরান গেল দুঃখে আমার ভরিয়া
ছেলের বাপের আর মায়েরই-দুঃখ দেখি দরিয়া,
কী আর করা ছেলেধরা
মেয়ের বাপের ফন্দি করা,
মাইয়া দিল মাগনাতে ভাই অনল কপাল ভরিয়া। ।


আর তো লগন মাইয়াটার আর্তনাদের সুর বাজে
দিন মান নাই সুখ রত্তি, বিবিধ নানান নোংরা কাজে,
তার উপরে প্রহার জুটে
দুঃখে পরান বক্ষ ফাটে,
আহার বিহার নাই জোটে না, কানের গোরত গালিই বাজে।


দুই মাস রাত হ'ল গত, অত্যাচারের নানান ক্ষতো
বেতের বাড়ি, কিল চড় লাথ আরো বিবিধ আছে যতো,
দুঃখে পরান আর মানে না
সহ্য কী সয় সেই যাতনা,
ফাঁসির দড়ি গলায় ঝুলায়, সেই দিনেতে হ'ল গত।


৬   “দুধেভাতে”


ম্যাও ম্যাও করো ক্যান, ঘ্যান ঘ্যান স্বভাবেতে
বাবুদের গোলাবারি কর ক্যান কবিতাতে!
গরিবেরা ঘানি টানে
আর ভেসে যায় বানে,
যুগে যুগে লেখা আছে বাবু থাকে দুধেভাতে!


৭  “হুল”


পরলো মাথায় তাল তলাতে বেলটা!
পারলে না ভাই অঙ্ক কষা বীজগণিতের ডিলটা,
প্রেম গগনে উড়তে বড়-ভাই
দারুন মেতে প্রেমের লগন টাই
আর জীবনে ধাক্কা খেলে ফুটল ফেলের হুলটা।


এখন থেকে দিন রাত্তির লগন গুনো উল্টা!
বুঝতে যদি নাই বা পার করলে কী যে ভুলটা,
আর ভোল সে কচি কালের প্রেমটা
ভাবতে যদি শেখো তোমার ভ্রমটা
আছে জীবন অনেক আগে পাবে গোলাপ ফুলটা।


জীবন ধারায় লক্ষ্য যদি নাই'বা র'ল ঠিক!
হারিয়ে যাবে সব সখা সই মাগতে হবে ভিক,
কেউ দেবেনা একটি কড়ি
কান্দ যতই কোঁচর ভরি
ভব দরিয়ায় ডুবতে পরাণ দুঃখ চর্তুদিক।