“একদিন”
একদিন-ফুটবে কলি ভ্রমর অলি পত্র পুষ্প মঞ্জুরি,
ক্ষেত্র হরিৎ ডাক দেবে প্রাণ
হৃদ আকাশে মন
জুড়ি। একদিন।
একদিন-ফাগুন হাওয়া বইবে প্রাণে গনগনে রঙ আকাশ তুলি,
রঙ তুলিতে ভাসতে তুফান
আনমনে তাই প্রাণ ভুলি। আনমনে তাই প্রাণ ভুলি।
একদিন, একদিন-অংশুমালীর বিভায় মেতে রাত আকাশে চন্দ্র তারায়,
শশধরের স্নিগ্ধ প্রভায়
হারিয়ে সে মন
ধ্রুবতারায়। হারিয়ে সে মন ধ্রুবতারায়।
একদিন, একদিন ফুটবে কলি ভ্রমর অলি পত্র পুষ্প মঞ্জুরি,
ক্ষেত্র হরিৎ ডাক দেবে প্রাণ
হৃদ আকাশে মন
জুড়ি। একদিন।
“কালজানী”
কল কল কল স্রোতোস্বিনী অজয় বয়ে চলে,
বারিধারায় উছল সে নদ
ঘূর্ণিপাঁকের জলে।
টল টল জল ভরাট সে খাত অজয় নদের কূল,
সর্বনাশা গ্রাস সে করাল
ভাঙতে তারি কূল।
ক্রুদ্ধ যেন ফোস ফোসানি অজয় নদের পানি,
ছুটতে বেগে গিলতে আকাশ
রূপ সে কালজানী।
যেমন প্রলয় উঠতে শিখা লাভার নিঃসরণ
সুপ্ত গিরি হটাৎ জাগে
ধ্বংসে মাতে প্রাণ।
অজয় যেন জাগলো আজি বারিধারার অঝোর ঝরে,
রূপ যেন তার পূর্ণবতী প্রাচীন কথা
মনে পরে।
সেই কালেতে পূর্ণ অজয় বইত পরিপাটি,
না ছিল তার জীর্ণ রূপ না ছিল
পার বসত বাটি।
যুগ যুগ কাল ধ্বংসে মেতে বনাঞ্চলের নাই ঠিকানা,
জীর্ণ রূপে শীর্ণ খাতে দুই পার মান
বসত খানা।
অজয় যেন জাগলো আজি বারিধারার অঝোর ঝরে,
রূপ যেন তার পূর্ণবতি প্রাচীন কথা
মনে পরে।
ক্রুদ্ধ যেন ফোস ফোসানি অজয় নদের পানি,
ছুটতে বেগে গিলতে আকাশ
রূপ ধরে কালজানী।
“মুড়োকাঁটা”
ধরাধরির এই দুনিয়ায় ধুকপুকানি বুকের পাটা,
খেতে ভাল সর্সে বাঁটায় ইলিস মাছের
মুড়োকাঁটা।
পরতে ভাল জামদানী পার বেনারসি শাড়ি গোটা,
আর ভাল খুব পায়েস পোলাও
রসে বসে ভাইফোঁটা।
ভ্রমণ ভালো রেলগাড়িতে বাস ট্রামেতে গরুর গাড়ি,
পাইসা যদি খরচ করো চড়তে পারো
হাওয়াই গাড়ি।
আর একটুক বাড়লে আগে দুবাই কী'বা হাওয়াই দ্বীপ,
অনেক ঘুরে দুনিয়াদারি-জ্বালতে পার
প্রাণ প্রদীপ।
যতই ঘুরো বলছি ভায়া বাড়ির থেকে আর কিছু নাই,
জলে কিংবা হাওয়ায় কী'বা-নিজ ভুমই
রোশনাই।