“বৈশাখী জয়োগান”


আজিকে ঘনায়ে বাদলের রাশি মাদল বাজিল প্রাণ,
ঘন ছায়ে আজি বাতাস রচিল
বৈশাখী জয়োগান।
কুসুমিত কলি হিল্লোলে দুলি গরজে ফেনিল বাজ
নতুনের গানে উদ্ভাসিত
আজিকে বৈশাখ।
পুরাতন যাহা স্মৃতির পরশে মলিনতা নাই প্রাণ,
নব্য রূপেতে বাজিলো মাদল
বৈশাখী জয়োগান।
জাগিল প্রাণেতে ময়ুরপঙ্খী ডানা মেলে যায় উড়ে,
স্বপ্নের দেশে পঙ্খীরাজেতে, দূর গগনেতে
যায় ওরে।
ঊলুধ্বনি শাখ বাজিল মাদল নতুনের আহ্বানে,
নৃত্য গানেতে পুষ্টি প্রাণেতে
নব্য বসন দানে।
ওরে ওই প্রলয় বাতাস নাচিতে আকাশ স্বাগতম আজি ধরা,
ওরে ওই মত্ত তুফান গাহি তোরি গান
অরূপ মনোহরা।
আজিকে ঘনায়ে বাদলের রাশি মাদল বাজিল প্রাণ,
ঘন ছায়ে আজি বাতাস রচিল
বৈশাখী জয়োগান।


“বৈশাখী”


আজি শাখে দোলা লাগে বাতাসে মধুর বোল,
সুবাস আজিকে কাননেতে কলি
প্রাণেতে লাগিল দোল।
আসিল তুফান ঝঞ্জায় প্রাণ প্রলয় বারির ধারা,
ধৌত আজিকে ভূতল ভূমেতে
ঝকঝকে মনোহরা।
বৈশাখী আজ প্রাণের দোরেতে হিল্লোলে বয় বায়ু,
বৈশাখ আজ এসেছে ধরায়
এনেছে প্রেমের বায়ু।
সারেগা রেগামা গামাপা মাপাধা পাধানি ধানিসা,
সানিধা নিধাপা ধাপামা পামাগা মাগারে গারেসা।
আজি শাখে দোলা লাগে বাতাসে মধুর বোল,
সুবাস আজিকে কাননেতে কলি
প্রাণেতে লাগিল দোল।
আসিল তুফান ঝঞ্জায় প্রাণ প্রলয় বারির ধারা,
ধৌত আজিকে ভূতল ভূমেতে
ঝকঝকে মনোহরা।
সাসাসা রেরেরে গাগাগা মামামা পাপাপা ধাধাধা
ধানিসা।
আজি শাখে দোলা লাগে বাতাসে মধুর দোল।


“কে তুমি”


কে তুমি অন্তর বাজালে বাঁশরী
হৃদয় বহিতে ধারা,
কে তুমি! কে তুমি সুবাস ছড়ায়ে
আসিলে মনোহরা।
হৃদয়ে তুফান উঠিল সে বান
প্রেমের রঙেতে রাঙা,
গাঙ সে কূলেতে আকুলো ভাসিল
ভাসিল জোয়ারে ডাঙা।
স্বস্তির বায় নিঃস্ব প্রাণেতে
অবাক চোখেতে চাহি,
রূপেরি প্রভা'তে আজি সে প্রভাতে
ভালোবাসা রাহী।
কে তুমি! কে তুমি সুবাস ছড়ায়ে
আসিলে মনোহরা,
কে তুমি! কে তুমি প্রাণ বাজালে বাঁশরী
অন্তর হৃদ হরা।
কে তুমি! কে তুমি।
কে তুমি অন্তর বাজালে বাঁশরী
হৃদয় বহিতে ধারা,
কে তুমি! কে তুমি সুবাস ছড়ায়ে
আসিলে মনোহরা।