“সাক্ষী”


তুই সই দেখলি আলো দূর সে বাগিচায়,
অন্ধ আমি তোর সে প্রেমে
লিখছি কবিতায়।
তোর সে দোলে দুল দুলেছি গগন গেছি উড়ে,
কেমন করে ভুললি রে সই
চাইলি সে প্রাণ দূরে।
সাক্ষী সে রয় গাছ গাছালি কানন বাগিচা,
আর সে নদী পাহার ভূমি
পাতায় রহে লেখা।
তোর বিহনে আর কূজনে স্তব্ধ যে রে আঁশ,
আঁধার তমা আর ঘিরে যায়
রুদ্ধ যে হয় শ্বাস।
খেদ ক্ষোভেতে সইতে নারি বইতে নারি প্রাণ,
আকাশ সে যে বন্যা প্লাবন-দুঃখ বেদন
গান।
সুপ্ত হ'ল অধর স্ফূরণ কুঞ্জ বিতান অলি,
গুপ্ত হ'ল প্রাণ সে পরাগ
হারিয়ে সে প্রাণ কলি।
নিথর নীরব বায় সে বহে স্তব্ধ মমি প্রায়,
নীড় সে গড়া তাজমহলায়
শূন্য বাতাস বয়।
মুষ্টি সে হৃদ প্রাণ ধরেছি তোর বিহনে বইতে সই,
তোর বিতানে নাই রে পেলাম
বায় সে প্রেমের বাতাস কই।
আকাশ বাতাস পাহার সে ভূম, বৃক্ষ লতা সারি,
বিহগ কূজন ময়না টিয়ে, নাই সে স্নেহের
বাড়ি।
তাই অজানায় গেলাম ভেসে হৃদ সাগরের বন্দরে,
প্রেম জোয়ারে ভরা কোটাল-রইল হৃদয়
কন্দরে।
তুই সই দেখলি আলো দূর সে বাগিচায়,
অন্ধ আমি তোর সে প্রেমে
লিখছি কবিতায়।


“কুসুম কলি”


স্নিগ্ধ ঊষা প্রভাত রবি আলোক উজল ধায়,
শীতল বাতাস জুড়ায় পরান
দক্ষিনের ওই বায়।
বিহগ কলি কূজন ভরে আকাশ বাতাস রবে,
বায় বাতায়ন আর খুলে দেয়
ধীরে ধীরে সবে।
কুসুম কলি বিতান ভরা লাস্য দলের প্রভা,
বঁধু মেয়ে আর ডালি সব
ফুলেল মনোলোভা।
আর হরিনাম সংকীর্তন প্রভাত ফেরি চলে,
বৃদ্ধ বুড়ি গান গেয়ে যায়
হরি হরি বোলে।
ময়না টিয়ে ফিঙে শালিক আর চরুই সারি,
কা কা রবে ডাক ডেকে যায়
সবার বাড়ি বাড়ি।
প্রভাত ঢলে বাড়তে বেলা জল নিতে যায় বঁধু,
জন মানবের ঢল সে নামে
প্রান্তরেতে ধূ ধূ।
গামছা কাঁধে নাইতে চলে ছেলে বুড়ার দল,
অজয় নদের মিষ্টি জলে
করতে কোলাহল।
বেলা বাড়ে পেট চুই চুই এখন বাড়ি যাই,
অনেক হ'লো এখন ভায়া-টা টা
বাই বাই।  


“দুই কুড়ের গল্প”


রাত্রি তখন দুই প্রহর আগুন লাগে ঘরে,
দুই ভাই দুই কুড়ে বড়
ঘুমাচ্ছিল তেড়ে।
আগুন যখন দাউ দাউ দাউ
আঁচ লাগে তার তাই,
কূড়ে ভাই বলে দাদায়
পি পু রে ভাই! (মানে পিঠ পুড়ে যাচ্ছে)
দাদায় বড় রাগ করে কয়
কইস না কথা টু,
ঘুমটা ভাঙায় দিলি আমার
এখন ফি শু। (মানে ফিরে শুয়ে পর)