(পাঠ করুন আর হাসুন)


“দেহখানি”


রে বুল তুই কই গেলি রে ব্যথায় আমায় খাচ্ছে রে,
দাঁতে ব্যথা মাথায় ব্যথা চোখে ব্যথা
হচ্ছে বে।
কোমর ব্যথা পেটে ব্যথা-পাতলা পায়ু হচ্ছে রে,
বেল্ট লাগায় শক্ত করে কোমরখানি
ধরছি বে।
তাই কী মানে চিবায় খালি, শূলশূলানি করতে থাকে,
রাত জাগি মান ব্যথায় ব্যথায়
আহা উহু ডাকছি মাকে।
ব্যথার গুলি খাচ্ছি গুলে-লিখতে মন আর লাগেনা,
এত অসুদ খাচ্ছি গুলায়-তাও তো ব্যথা
বাগ মানেনা।
দুখের কথা বলব কী ভাই এক গালেতে খাদ্য খাই,
ঘচাং করে দাঁতের ফুটায়-হটাৎ করে
ব্যথা পাই।
কঁকিয়ে উঠি উ মা রে! জানটা যেন বেড় হয়ে যায়,
তুলতে হবে দাঁতটা এবার-মরছি আমি
ব্যথায় ব্যথায়।
ও ভগবান দাঁত কেন তুই -লোহা দিয়ে গড়িস নাই,
এমন তেমন গড়লে কী আর-তেমন করে
ব্যথা খাই।
বললি কী ভাই বয়স হ'ল, দাঁতগুলি সব তুলেই ফেল,
বাহান্নতেই হালটা এমন-আর তো বয়স
পরেই র'ল।
কী আর করা যাই তা'হলে দাঁত কপাটি তুলতে রাজি,
অসুদ টসুদ কাম বাধে নাই-পারবে না ভাই
কবিরাজি।
নকল দাঁত লাগায় দিব বুঝতে কেউ পারবে না,
আর ব্যথা ভাই পালায় যাবে-আর কোনদিন
করবে না।
আর কী বলি বয়স হলে-এমন অনেক আস্ত সাজা,
তুই তো ভাই খুশিই হবি-বাজা বাজা
শিসটি বাজা।
বয়স কী তোর হবে না'রে বুঝবি তখন শিস বাজানি,
দাঁত পুড়বে ভাঙবে কোমর-পার পাবিনে
দেহখানি।


“ডগমগ”


হই হই রব গুপ্তবাড়ি চোর পরেছে ধরা,
মার মার সব কিলায় গুতায়
ব্যাটা হতচ্ছারা।
কিলায় কাঁঠাল বানায় তারে থানায় দিল পুরে,
সন্দেহ সব তারই ওপর
চর্চা ঘরে ঘরে।
তিন মাস তার বিচার চলে হাকিম বলে ভাই,
প্রমাণ টমান কিছুই তো নাই
খালাস দিলাম তাই।
ডগমগ সে দারুন খুশি জিগায় হাকিমেরে,
তাইলে কী স্যার চুরির মাল;
হবেনা দিতে
ফিরে?


“আলুভর্ত্তা”


তেল তেলানি গল্পখানি ভয় নাই কী আপনার,
তেল মাফিয়া দেখলে কবি-কাইটে নিবে
তুমার ঘার।
ওই দিনেতে বিহারেতে নাটক পথে করছিল,
নারী পাচার রোধ করাতে-দারুন পিছে
পরছিল।
হটাৎ বাইক পাঁচ পাঁচখান অস্ত্র হাতে আসল তেড়ে,
পোলাগুলায় প্যাদায় খুব-মাইয়া গুলি
তুললো ঘারে।
প্রাণ পাখিটা ছাইড়া দিছে খাবলা মেরে ধর্ষণেতে,
লইয়া গিয়া পাটের ক্ষেতে-উঠছিল ভাই
ওরা মেতে।
অহন আমার লাগছে ভয়, আপনি লুকায় যান কত্তা,
পাইলে ওরা ছাড়বে না কই-বানায় দিবে
আলুভর্ত্তা।