"সূচনা"


খুব ছোট বেলা থেকেই মা'র সাথে সাথে বাবাকে চিঠি লিখতাম।
বাবা তো মিলিটারি ছিলেন তাই-
সারা বছরই আমাদের থেকে দূরে থাকতেন।
কখনো লাদাখ, কখনো জম্মু কাশ্মীর , নৈনীতাল, রাজস্থান ,
এমনই সারা ভারত।
ক্লাস সেভেনে পাঠ করবার সময় বাবাকে ইংরাজিতে চিঠি লিখেছিলাম।
বাবাকে যখন চিঠি লিখতাম
উদাস হয়ে যেতাম।
কবিতা লেখবার মতনই লিখে যেতাম মনের কথাগুলি।
একথা কেন লিখছি আর চোখ ঝরাচ্ছি, জানি না,
লিখতে ইচ্ছে হ'ল।
আমার মনে হয়, সেখান থেকেই আমার কাব্যবোধের সূচনা।
আজও সে অভ্যেস ভুলতে পারিনি,
শেষে লিখতাম, তোমার প্রিয়  বাবু।
এখনও আমার সব লেখাতে এই কথাটাই ব্যাবহার করি।
হয়তো আমার সাহিত্য চর্চা কবিতা লেখার প্রেরণা
প্রতি সপ্তাহে বাবাকে লেখা
চিঠিগুলিই।


(শ্রমিক কৃষক গরিব দীন মজুরে ভরা দেশ। জীবন ধারণে প্রাণান্ত পরিশ্রম। শতকরা আশি শতাংশই এরা।  আর আমাদের মতো লোক যারা গতর নাড়াতে জানি না, মেদ জমে যায় ভুরি ভুরি খাবার খেতে খেতে, তাদের জন্য যোগ অবশ্যই জরুরি কিন্তু এভাবে রাজকীয়ভাবে প্রচার করে, পালন করে, তাদের কী আমরা উপহাস করি না। আর তাই কিছুটা ব্যঙ্গাত্মক সুরে আমার এ লেখা। একটু চিন্তা করবেন।)


“যোগ দিবস............জিন্দাবাদ”


ধাঁধা রে ধাঁধা গোলক ধাঁধা
যোগ দিয়ে বাঁধ পেশির বাঁধা,
নাই কোঠিনাই সিঁধেসাধা
হাত পা মুড়ে একটু
সাধা।
রোগ শত্তুর দূর ভেগে যায়
বিয়োগ নহে যোগ ধাক্কায়,
তাই বলি ভাই হাঁক হক্কায়
যোগ ধরো ভাই হৃদ
মক্কায়।
সুস্থ নিরোগ দীর্ঘ আয়ু
ফট যাবে না প্রাণটি বায়ু,
সকাল সকাল উষাকালে
নিত্য দু'হাত দু'পা
মিলে।
বলোঃ যোগ দিবস............
জিন্দাবাদ।  


“আহা! কী জাদু”


আহা! কী জাদু ওই নীল দরিয়ায়
তোর ওই আঁখির নীড়ে,
পথ ভুলে যাই ভ্রান্ত দিশায়
অথৈ সাগরে, ও সখী তুই বল।
ও সখী তুই বল।
শিশির কণা মুক্তোরাজি টল টল টল নীল,
সব ভুলে যাই নীল দরিয়ায়
তোর আঁখিতেই দিল।
ঝঞ্ঝাতে প্রাণ কৃষ্ণ কালো নিশীথ রাতে সই,
তোর বিহনে নাই রে কূজন
স্তব্ধ হয়ে রই।
ও সখী তুই আয়, মিলতে দরিয়ায়,
প্রেম সাগরে ভাসিয়ে ভেলা
দেউল পানে আয়, দেউল পানে আয়।
ও সখী তুই আয়।
শিশির কণা মুক্তোরাজি টল টল টল নীল,
সব ভুলে যাই নীল দরিয়ায়
তোর আঁখিতেই দিল।
আহা! কী জাদু ওই নীল দরিয়ায়
তোর ওই আঁখির নীড়ে,
পথ ভুলে যাই ভ্রান্ত দিশায়
অথৈ সাগরে।