“অজয় নদীর আঁকে বাঁকে”


অজয় নদীর আঁকে বাঁকে
পদ্ম শালুক কলমি ফোটে,
স্থবির জলে পারের ধারে
কচি কাঁচার দল সে
জোটে।
শান্তনু সে দক্ষ অতি
হাত দিয়ে মাছ ধরে পুঁটি,
বাটিত ঘটিত করে জড়ো
মাছ পেলে ভোজ মস্ত
বড়।
কই মিলে যায় ঘোলা জলে
গামছা দিয়ে ছেঁকে তোলে,
রহিম চাচা নাও নিয়ে ভায়
জাল ফেলে সে দূর চলে
যায়।
বড়শি নিয়ে টানাটানি
শহুরে বাবু খানদানি,
নেয় না মাছ সব দিয়ে যায়
মাছ ধরে সব মজা
পায়।
পাগলা ভোলা খুব ব'কে যায়
অজয় নদীর পার বেয়ে নায়,
গরুর গাড়ি আর সে চড়ি
হাটু জলে পার হয়ে
যায়।
রসিক মিঁয়া রসিক অতি
বঁধুর লুকায় রাখে ঘটি,
আর সে খোঁজ চিলচিলানি
রাগ মেখে যায় বঁধু-
খানি।
বেশ পেয়েছিস মাছ তো ওরে
চল ঘরে যাই ভাজতে তেড়ে,
আসল তেড়ে তোর মা ওই
কলম রাখি ভাগতে
সই।


“কৃষ্ণকলি”


আহা! কৃষ্ণকলি কথাকলি-পরান মোর আলোক জ্বলে,
তোর কালোতে প্রেম ডুবেছি-হৃদ দরিয়ার
শীতল জলে।
কল কল কল প্রেমের উজল-বন্যাধারায় বইতে চলি,
আর পালেতে উছল গগন-তোর সুরেতে
লগন ভুলি।
ও মোর কৃষ্ণকলি। কৃষ্ণকলি কৃষ্ণকলি, কৃষ্ণকলি।
কানাই তোর ওই কাঙাল আমি আঁচল রাখি বিছায়ে,
আয় না কানাই ভালোবাসি-দিল দরিয়ায়
ভাসব রে।
ভাসব রে সই, বাসবো রে।
তোর বাঁশুরী সুর শুনে সই দৌড়ে দেউল প্রান্তরে,
কানাই তোর ওই পথের নিশান-
কাঁদতে রে সই ভ্রান্ত রে।
দিস নে রে ভ্রম কৃষ্ণকলি জনম জনম সাধতে তোর ওই,
তোর বাঁশুরী সুর শুনে প্রাণ-ভ্রান্ত দিশায়
বইতে সই।
আহা! কৃষ্ণকলি কথাকলি পরান মোর আলোক জ্বলে,
তোর কালোতে প্রেম ডুবেছি-হৃদ দরিয়ার
শীতল জলে।


"ন্যাতার কথা"


তেনার কথা ভুল হ'ল ভাই ন্যাতার কথা;
এইটুকুনই নাকি, নাকি তেনার ভয়েই দাদা
দিয়ে দিলেন ফাঁকি।
পাইসা টাকার গল্পগুলি চিটিংবাজির কথা,
সাত মঞ্জিল রাজার মহল-লিখবেন না
গাঁথা!
হরিমোহন দত্ত ছিল টিনের চালের বাড়ি,
তার মা রোজ জ্বালত উনান
কয়লা দিয়ে খড়ি।
যান দেখি তো বছর দুই হরিমোহন কাউন্সিলর,
দেখতে তাহার বাড়িখানি-ঘার উঁচু ভাই
সেই থ্রীলার।
বাহন ছিল বাই সাইকেল খটর খটর ছুট,
দশলাখী যান এখন তাহার
আর আছে ভুটভুট।
চামচাবাজি চলুন করি রস যদি পাই কিছু,
ছাড়বো না ভাই চলবো ডাটে
ন্যাতার আগুপিছু।