"এস হে বৈশাখ"


আজিকে লহরে খর বায়ু বহে গগনেতে কালো শ্বাস,
আজিকে প্রাণেতে তুফান বহিতে
আসিছে বৈশাখ।
পুরাতন যাহা উড়ায়ে বায়ু ঘুরিয়া তুলিয়া ফেলে,
বাণীতে নতুন নব্য দিশাতে
আসিছে অঙ্গ মেলে।
হরষে বৃক্ষ দুলে দুলে ছোঁয় ভূমেতে অঙ্গ ঢালি,
প্রাণেতে প্রেমেতে প্রণীত সুবাসে
হাসিছে বনমালী।
ওরে ওই শঙ্খ বাজা শঙ্কা দূরে, ঊলুধ্বনি দে রবে,
জীর্ণ পুরান সঞ্চারি প্রাণ
ভৈরবেতে রবে।
ওরে ওই দীপ্ত শিখা ভৈরবে রাজ নব্য প্রাণের দিশা,
দীর্ণ প্রাণে নব্য সোপান
কাঁটতে তমানিশা।
ওরে ওই শঙ্খ বাজা শঙ্কা দূরে, ঊলুধ্বনি দে রবে,
জীর্ণ পুরান সঞ্চারি প্রাণ
ভৈরবেতে রবে।

“কোটা”
"যারা কোটার বিরুদ্ধে লড়াই করছেন তাদের উৎসর্গ করলাম কবিতাটি, গানে গানে ছড়িয়ে দিন সারা দেশে"


আজিকে প্রভাতে গহনো তিমিরে বেদনায় কাঁদে প্রাণ,
শতে ফাঁদে যুবদল শিক্ষিত
সন্তান।
মেধার আলোকে আলোকিত সবে ক্রন্দন আজি ধরা,
সোপানো সে রথ কোটার দানিতে
বেদনায় প্রাণ হরা।
রিক্ত প্রাণেতে কুঠারাঘাতে ব্যার্থ স্বপ্নের ঢল,
নিরব নিথর আত্মগ্লানিতে
হৃদয় শতদল।
কন্ঠ রুধিত কর্মের দিশা কোটায় হয়েছে লীন,
বহিছে খাতে কল কল রবে
সাবলীল মেধাহীন।
কোটায় রুষ্ট নাহিকো বারিকো মেধায় নিক্তি ধরো,
মেধাহীন রাজ নাহিকো গড়িতে
আজিকে সে পণ করো।
সে পল লভিতে, জাগো সন্তান সবে, আজিকে ধরিতে হাল,
ঝঞ্ঝায় আজি ডুবিছে সে নাও
ছিঁড়েছে বায়ূতে পাল।
কান্ডারী আজ আহরিতে ন্যায় পুকারো সে ধ্বনি,
আকাশ বাতাস হোক মুখরিত
রণিত প্রতিধ্বনি।
আজিকে পণেতে রুধিরে বহিতে শত অগ্নির শিখা,
আজিকে গড়িতে সাম্য সোপানে
ইতিহাস আজিকে লেখা।


“পশুত্ব”


পশুত্ব পথে ঘাটে সুটে বুটে বাবু রাজ
কেঁদে ফেরে সভ্যতা মুকুটের ধরা
লাজ।
দিকে দিকে হিংস্রতা বন্য সে আদাবেতে
“পাগলিটা মা হলো”, সন্তান ধরা
পেটে।
বাবা তার কেউ নাই নাগরিক উল্লাসে,
হায়েনার ধ্বনিরব নিঃশ্বাসে আসে
ভেসে।
জবাব কি আছে কোন সভ্যতা শিখরেতে
“পাগলিটা মা হলো”, বাবা তার কোন
ফ্লাটে!
ফ্লাট বাড়ি দামি গাড়ি ঘর বার বউ তার,
টাই ফাই সুটে বুটে হাইফাই
কারবার।
সন্তান তারি ধরা “পাগলিটা” পেটে ধরে,
সে রাতের আঁধারেতে লুন্ঠনে
পথ পারে।
জানে নাই কেউ নাই কিবা তার পরিচয়,
বাবা তার জামদানি খানদানী
কোথা হায়!
হায় হায়! কি'বা হেরি জমকালো স্যুট তলে,
খানদানী কীট তারা সৌরভে
ছলে বলে।
কী'বা দাম কী'বা মান অন্তর জানে তারি,
আর ধরা দূরে রাখে পশুতার
কারবারী।
মানুষ তো নয় তারা নরকের কীট জেনো,
এক ধরা পাপ তারা শয়তান
পশু সম।