“দীপ”


খোল রে ওরে, খোল রে দুয়ার-ভালোবাসার সোপান পানে,
আয় সখী আয় দে না পরান, চল ভরে দি
গানে গানে। চল ভরে দি গানে গানে।
মরা গাঙে বান টেনে দি........................।
মরা গাঙে বান টেনে দি, ভ্রান্ত পথিক পথ খুজে দি,
ঊষার আলোক লগন তলে, মানবতার
দীপ জ্বেলে দি।
দীপ জ্বেলে দি, দীপ জ্বেলে দি, দীপ জ্বেলে দি.........।
হীন মনেতে বইব না হৃদ দীন দুঃখীর আতুর ঘরে,
শঙ্কা যেথায় জড়ায় পরান, ঢঙ্কা বাজায়
দ্বারে দ্বারে।ঢঙ্কা বাজায় দ্বারে দ্বারে।
সাম্যতারই গান গেয়ে চল থাকবি কেন আঁচল তলে!
আঁচল তলে, আঁচল তলে, আঁচল তলে.....................।
দুর্বার ওই ডুবছে রে প্রাণ, এক পৃথিবী
রোদন তলে।
রোদন তলে, রোদন তলে, রোদন তলে……………….।
খোল রে ওরে, খোল রে দুয়ার-ভালোবাসার সোপান পানে,
আয় সখী আয় দে না পরান, চল ভরে দি
গানে গানে। চল ভরে দি গানে গানে।
চল ভরে দি গানে গানে।


“লেবাস”


অন্তর জাগ্রত না হলে ধর্মের লেবাস পরে লাভ কী!
অন্তর জাগ্রত যার, ধর্মের লেবাস দরকার
পরে কি!
বকধার্মিক যারা তারা করে পরিধান,
শুদ্ধশুচি আত্মার দরকার
নাই রে বস্ত্র
বিধান।
সে জন গর্হিত বস্ত্র বিধানে মেকি সাধনায় রত,
কলির কালেতে অপরাধে মাতে
এমনই শত  কত!
মর্মেতে আমি ধর্ম মেনেছি  সাধনাতে হই লীন,
নাই রে, নাই রে আমার বস্ত্র বিধান,
নাই জপ তপ মন্ত্রের ধ্বনি,
ঈশ্বরে হই
লীন।


“আগমন”


নারদ নারদ! মৃত আমি, অনন্ত বহমান,
রূপেতে আঁকরি দেহমন, কলিতে
আগমন।
বুদ্বুদ সম প্রায় জেগে উঠি আঁধিয়ায়,
মৃত আমি মরণেতে-যুগে যুগে
বহি তায়।
সংসারে দীন রাহি মৃত্যুর কথাকলি,
লিখে যাই গাঁথা মাঝে
সুখ দুখ কোলা-
কুলি।
আর যাহা মান দেহ-দিতে তারে অঞ্জলি,
যিনি মোর হৃদে রন-গেঁথে যান
কথাকলি।
নারদ নারদ! মৃত আমি, অনন্ত বহমান,
রূপেতে আঁকরি দেহ কলিতে
আগমন।