“হুঙ্কার”


মহাধাম সুখ নীড় অজয়ের জলোধারা,
কলো কলো উছলেতে টুপ টুপ
বারি ধারা।
ঝুপ ঝুপ পরে জলে উদ্বেলে ছিঁটে জল,
হারু নিধি রাম গুপি জলোকেলি
কোলাহল।
অশান্ত সমীরণে উঁচু নিচু ঢেউগুলি,
জল স্ফিত হয়ে ওঠে-মাঝি গেয়ে
ওঠে কলি।
ত্রস্তেতে বঁধুগুলি তাড়াতাড়ি ঘরে ছুটে,
হাত ধরা মাথা উঁচু-দুই হাত
আঁচলেতে।
নিরু কাকা নৃত্যেতে বারিধারা ভিজে চলে,
রাম শ্যাম যদু মধু-তারি পিছে পিছে
চলে।
কাশ বনে ঢেউ ওঠে তরঙ্গে রাশি মেলা,
অজয়ের জলে মেতে-শিশুগুলি
করে খেলা।
ঝর ঝর ঝর ঝর অঝোরেতে বারি ঝরে,
কর কর কর কর হুঙ্কারে
বাজ পরে।
মাতা সবে ছাতা হাতে নদীপারে রব দেয়,
ফিরে চল ঘরে সবে-আকাশটা
ভাল নয়।
যদু কথা শুনে নাই তাই মাতা লাঠি হাতে,
মারে তারে ঢুস ঢাস-পথ দিয়ে
যেতে যেতে।
শুনশান হয়ে গেল অজয়ের পার ঘাট,
চলো যাই ঘরে ফিরি-কলমটা
তোলা থাক।


“বাকি”


ছাই দেখে সই মন ভুলোনা অন্তরেতে ধিকি ধিকি,
তুষের অনল কাঁড়তে পরান
আর কী কিছু রাখে
বাকি!
ধিক ধিক ধিক জ্বলছে পরান উপর শীতলপাটি,
লাগলে রে সই বাতাসখানি
উল্টে যাবে দাঁতের
পাটি।
দাঁত কপাটি দেখেই বাপু মানুষ চেনা দায়,
চিনতে হলে অন্দরেতে
ডুবকি দিতে
হয়।
হায় হায় রে! চিন্নি বঁধু রুপখানি তার জ্যোছনা আলো,
চক্ষু মুদে কপাল খেলো-আর পরেতে
ডুবকি দিল!
দিল রে দিল! ডুবকি দিল!
তাই কি বলি! কী বলি ভাই-বলার কী আর বাকি আছে,
দৃষ্টি খোল অন্তরেতে-বহিরাঙ্গে রঙ্গ
কালো!
কালো রে দাদা! কালো!
ছাই দেখে সই মন ভুলোনা অন্তরেতে ধিকি ধিকি,
তুষের অনল কাঁড়তে পরান
আর কী কিছু রাখে
বাকি!


"হুকুমত"


যতক্ষণ শ্বাস ততক্ষণ আঁশ
দুনিয়া ভাল যদি,
হৃদয়ে থাকে আলো।
হিংসা আগুন জ্বালে
হৃদয় বয়ে যায়,
কে জানে! কবে ডাক দেবে
ঈশ্বর।
এ জীবনে আছেটা আর কী!
কেন বিবশ হব অজ্ঞানে,
ঠিকানা তো একটাই-ওই
মৃত্যুর পানে।
যেখানে বসে আছে হুকুমত-
সত্য ও ন্যায়ের
বিচারক।


এ লেখাটির আমার করা হিন্দি অনুবাদ:-


"হুকুমত"


যবতক হ্যয় শ্বাস তবতক হ্যয় সোচ্ ।
সারে জাহা আচ্ছে হ্যয়
আগর দিল মে নেহি হোতা হ্যয়
নফরত।
নফরত আগ জ্বালতে হ্যয়,
ভটকতা হ্যয় দিল,
কোন জানে কিস পল!
হুকুমত লায়েঙ্গে
বিল!
ক্যয়া রাখ্যা হ্যয় জীবন মে
বিবশ কিউ হোঙ্গে দুনিয়া দারি,
মঞ্জিল তো হুকুমত হ্যয়,
ন্যায় কী উন'নে হ্যয়
সত্সঙ্গ কী পাক্কা
খিলাড়ি।