, “শখ”
শখ যে আমার আঁকাশ ছোঁয়া তার পিছনেই ছুটি,
দে না আমায় দে না মা'রে
দে'না পাখা দুটি।
লাগিয়ে মনে পাল তুলে যাই কাব্য সাগরেতে,
হাজার মানিক লক্ষ তারা
হারিয়ে তাদের দেশে।
কল কাকুলি বল্গা খুলি শৃঙ্গ পাহাড় টানে,
লিখব রে গীত অমর কলি
কাব্যগাঁথার বানে।
বানের জলে ভাসিয়ে রে মা তরিৎ দে'না গতি,
ধরতে আকাশ শৃঙ্গ চূরা
ধরতে রে মা ক্ষিতি।
জনম জনম লিখতে কলি হৃদয় দে'না মা'রে,
শখ যে আমার শৃঙ্গ পানে
পালছি সংগোপনে।
শখ যে আমার আঁকাশ ছোঁয়া তার পিছনেই ছুটি,
দে না আমায় দে না মা'রে
দে'না পাখা দুটি।
“জন্মভুমি”
আহা! কী অপরূপ হেরিনু তোহারি বঙ্গের রান ভুমি,
এ দেশ তোমার এ দেশ আমার
সাধের জন্মভুমি।
কল কল কল নদীর ধারা শস্য শ্যামল ক্ষেত,
বক্ষেতে তার আর সরোবর
শাল পিয়ালের দেশ।
পালকি দোলে দুলকি চালে বউ পিরিতির মেলা,
সাজ সজ্জায় লাজুক চালে
জীবন নদের ভেলা।
প্রাণ ভেসে যায় মিষ্টি গানে বিহগ কলতান,
মিলন সাগর সিন্ধু বারি
হৃদ প্রেমেরই গান।
কুসুম কলি মিষ্টি মধুর স্বর্ণ উজল ধারা,
মন কাঁড়ে মা প্রাণ প্রতিমায়
স্বপ্ন আলোক ধরা।
মা'গো তোমার রূপখানি সই রাণীর বেশেতে,
আর ভেসে যাই গগন উদার
তোমার দেশেতে।
মিষ্টি মধুর রূপখানি তোর আর ধরাতে নেই উপমা,
পারিজাতের সেই বাগিচায়- তোমার আমার
বঙ্গ মা।
“বায়না”
কত্তাবাবু কন কী!
দিচ্ছেন ক্যান ধমকি?
ধান ভাঙতে শিবের গাজন
বর্ষা এবার কম
কী?
তাই কী করেন কান্না!
হয় নাই কী রান্না?
গামছা বাঁধেন পেটের তলত
করবেন না
বায়না।
বাঁধ দিয়ে জল আটক করেন,
জলসেচ ওই প্রণালীতে,
বর্ষা যদি নাই বা হ'লো
ফুটবে ফুল ধানের
ক্ষেতে।
বুঝিছ্যান কী কত্তা!