“ভৃত্য”

যে জন সাধন ভজন পূজন-আরাধনা নিত্য,
শত শাপ পারে নাকো-সুখ তার
ভৃত্য।
নাহি ক্ষেদ প্রাণ বহে-শান্ত সে হিল্লোলে,
তরঙ্গে বহে নদী-কুলুকুলু
কল্লোলে।
বিহগের কলতান মাধুর্য বিরাজিত,
নব নব সৃষ্টিতে-সুরভিতে
তথাগত।
নাহি ধ্যান আনমনে-আর দিশা গত হয়,
নিশানায় আঁখি দু'টি-মীন ধরা
গাছে রয়।
জীবনের স্পন্দনে আলোকিত জ্যোছনায়,
কাম রতি ভোগ সুখ-কিছু নাই
বাসনায়।
দাও মতি ভগবান-ঈশ্বরে কই কথা,
লিখে দাও লেখনীতে-এঁকে দাও
শুভ রেখা।


“বৈতরণী”


স্বপ্ন গুলি সত্যি হলে-রঙিন ঘুড়ির দেশে,
ভাসতে ভালো প্রাণের আলো
তোমায় ভালোবেসে।
যা চাইবার স্বপ্নে আমি পাই গো,
না চাইবার দুঃখ ব্যাথা-গাই গো।
আঁধার তমা আর দিশা প্রাণ-বৈতরণী
স্বপ্ন সোপান মাঝ দরিয়ার
আর ধরণী।
মুক্তোকণা শিশির ঘন বাসতে ভালো,
লগন প্রহর কাল বয়ে যায়
আকাশ কালো।  
আলোক পানে ভাসিয়ে জীবন-সেই ঠিকানা,
স্বপ্ন রঙির সেই দেশেতে
হীরের কণা।
পদ্মাবতী গান গেয়ে যায়-লহর উছল,
আর দোলাতে চর্তুদোলায়
ঢেউ তোলা জল।
পাল ছিঁড়ে যায় চপল মতি-হাল সে বেহাল দশা,
স্বপ্ন রঙিন জাল বুনে যায়
তোমার ভালোবাসা।
আর সুদিনে আর শুধিনে কাল সে কপোল বারি,
তরিৎ মতি পদ্ম জোলায়
জীবন করণ ভারী।
যা চাইবার স্বপ্নে আমি পাই গো,
না চাইবার দুঃখ ব্যাথা-গাই গো।
স্বপ্ন গুলি সত্যি হলে-রঙির ঘুড়ির দেশে,
ভাসতে ভালো প্রাণের আলো
তোমায় ভালোবেসে।


“বৈঠা”


নরাধমে দেশ ছেয়েছে-পশুত্বও নাই,
কেমন করে গাইতে গানে
মানবতা গাই।
ম্লান আঁখিতে মান আঁকিতে-চিল শকুনে আজি,
কাব্যগাঁথায় আর না মালা
জীবন রাখি বাজি।
বৈঠা মাঝি দে না হাতে-কুড়াল কুঠার মা,
দগদগে ঘাঁ সাফ করে মা
গড়বো উপমা।
ওরে কানু তোর গড়া রব-এইকি নমুনা,
গড়তে মানুষ তোর ওই দেশে ওই
গঙ্গা যমুনা।
লাজ কী'রে তোর শরম কোথায়-মরম ব্যথায় ম'রে!
বিচার তোর ওই নাই রে কানু
আঁধার তোর ওই ঘরে।
কৃষ্ণকলি নাম নিলি তুই মানব ভেষেতে,
দানব মতি মানব কেন-পারবি কী
জব দিতে?
আর না মানি মানব ভেষে-রঙ রাঙালি তুই,
রংধামালীর দেশে কানু-দানব তোরে
কই।


“জান কি বাজি”


জানকি বাবু জান কি বাজি ধরবো আজি দুই হাতে,
দাউ কুড়ালে ফালা ফালা মারবো
আজি তোর
মাথে।
কর্ম করে খাই মোরা-অধিনতা মানবো না আর,
শক্তি কতো দেখবি রে তুই
করবো এবার
আরপার।
পায়েস পোলাও মন্ডা মিঠাই গলবে এবার পুচ্ছে তোর,
জগাই মাধাই চ্যালাপ্যালা
শাপ কপাটে মারবো
জোর।
হা করতে হা-পিত্যেস-হারগিলে তোর শয়তানি,
কর্মকারের হাত ধরে মার
শেষ হবে তোর
গুলতানি।


“ভালোবাসার গান”


প্রখর দাহের অবসানে বৃষ্টি নামে আজি,
মন উড়ে যায় পাখনাতে প্রাণ,  
আকাশ আলোক বাজি।
দুর গগনে আলোর রেখা বিজলী চমকায়,
দূর চলে যা গীষ্ম রে ভাই
বজ্র ধমকায়।
রিম ঝিম ঝিম রিম ঝিম ঝিম পুলক জাগে প্রাণ,
অঝোর ধারায় প্রাণের ধারায়
ভালোবাসার গান।ভালোবাসার গান।
রিক্ত আশা মর্মরে প্রাণ উছল নাদে গীত,
কিশলয়ে অঙ্কুরেতে ক্ষেত্র হরিত
প্রীত।
কৃষ্ণচূরায় প্রাণ মিলে দি বকুল পলাশে,
পুঞ্জ পুঞ্জ মেঘের ভেলায়
প্রেমের সকাসে।
ঝিলিক ঝিলিক প্রাণের বারি স্বস্তিতে প্রাণ ধরা,
অঝোর ধারায় মুক্তোরাশি,
হৃদয় আলোক করা।
রিম ঝিম ঝিম রিম ঝিম ঝিম পুলক জাগে প্রাণ,
অঝোর ধারায় প্রাণের ধারায়
ভালোবাসার গান।ভালোবাসার
গান।


“ফন্দি”


যুগে যুগে কালে কালে অস্ত্রের যাতাকলে-সময়টা বন্দি,
কেড়ে নিতে ধন প্রাণ-জীবনের ইন্ধন;
আঁটে নানা ফন্দি।
মানবতা দেখি নাই যুগ কাল প্রবাহতে,
রামায়ণ যুগ হতে; কুরু আর পান্ডবে
অস্ত্রের ঝলকেতে।
বিভীষণ দিকে ঘোরে জিঘাংসা মতি প্রাণ,
যুগান্ত যুগ হতে, ঘরে ঘরে
শয়তান।
চাকা ঘোরে সভ্যতা ভব্যতা দূরে যায়,
মানবের বেশে দেশে, বোমা গুলি
চমকায়।
অশান্ত গোষ্টিতে কোন্দলে রব তোলে,
পরমানু বোমা লয়ে-ধবংসের
কলরোলে।
নাই নাই নাই নাই মানবতা দেখি নাই-যুগ কাল প্রবাহেতে,
লহুঝরা বান ছোটে-মানবের
রক্তেতে।
কতিপয় হাতে গোনা শান্তির পথে গায়,
বিদ্বেষ বাস্পেতে, বাণী তাহে
পথে যায়।
আশা নাই আশা নাই তবু পথে গেয়ে যাই-মানবতা সঙ্গীত,
জানি লয় হবে ধরা-তবু গাহি
প্রেম প্রীত।


“কানামাছি ভো”


আর বাহারে রঙ্গ চলে
কানামাছি ভো!
ভুত ভুতুরে ভোট দিয়ে যায়
বাজটি মেরে ছোঁ।


পুলিশ শালিস কেনা ঘোড়া
ভোপু বাজায় ভো!
নালিশ টালিস ফাঁটা বালিস
নল বন্দুক শো।


গনতন্ত্রের শব গলা লাস
দুর্গন্ধে ভরা,
বাংলাদেশের রঙ্গ পটে
লুন্ঠনেতে গড়া।


“লা-জবাব”


গুরু তুমি লা-জবাব
ভাবনা তোমার সাবাস দেই,
এই জগতে
এমন লোক
একটিও আর কোথাও নেই।


তবুও গুরু পই পই কই
দাউ কুড়াল রাখবে হাতে,
ছোরা যদি
ভুকলো কেউ
মারবে তুমি সাথে সাথে।


আমার আবার ভয়টা বেশি
দূর থেকেই বাণটা ছুড়ি,
কাব্য গাঁথায়
জবর দস্ত
হুরুম দুরুম মারামারি।


“টিকটিকি”


টিকটিকি ঠিক ঠিক-পাবে দেখা দশ দিক,
ঠিক ঠিক ঠিক ঠিক-টিক টিক
টিক টিক।
আর বলা কথাবুলি-টিকটিকি বলে ঠিক,
আরশোলা ঘরে এলে-্ঠক করে
ধরে ঠিক।
তাকে তাকে থাকে তারা-সজাগ সে মতি তার,
আরশোলা ঘরে এলে-টিকটিকি
দরকার।
তবে বলি সরকার-বলিহারি বিষ তার,
খাবারেতে পরে গেলে-পাবে নাকো
নিস্তার।
তাই বলি ঢেকে দাও খাবারটা তাড়াতাড়ি,
এইসব শিখে নেওয়া, খুব দামি
দরকারী।
আর বলা কথাবুলি-টিকটিকি বলে ঠিক,
আরশোলা মশা মাছি-ঠক করে
ধরে ঠিক।