“ঝড় এসেছে”


ঝড় এসেছে প্রলয় বায়ু শন শন বেগ তায়,
উথাল পাথাল দশ দিক মান
প্রবল বেগে ধায়।প্রবল বেগে ধায়।
শঙ্কাতে প্রাণ সংহারেতে আম্রমুকুল বোল,
ঝর ঝর ঝর ঝড় বয়ে যায়
দেয় সে ছোবল দোল।দেয় সে ছোবল দোল।
রক্ত ঝরে চৌদিশাতে সম্ভ্রমেতে হয় সে হানি,
মা বোন আর ইজ্জত তার
অশ্রু ঝরা সেই
কাহিনী।অশ্রু ঝরা সেই কাহিনী।
ঝড় এসেছে, ঝড় এসেছে, ঝড় এসেছে
ঝড় এসেছে প্রলয় বায়ু শন শন বেগ তায়,
উথাল পাথাল দশ দিক মান
প্রবল বেগে ধায়।প্রবল বেগে ধায়।
ছোট্ট শিশু তন্বী তনয় মা বোন আর জায়া,
ঝড় বয়ে যায় নির্ঝরেতে
নাই রে মায়া
দয়া। নাই রে মায়া দয়া।
মানবতার নিশান তলে বহ্নি জ্বালে কামুক শিখা,
পতঝরেতে প্রাণ ঝরে যায়
অশ্রুবানের লহর
রেখা।অশ্রুবানের লহর রেখা।
ঝড় এসেছে, ঝড় এসেছে, ঝড় এসেছে
ঝড় এসেছে প্রলয় বায়ু শন শন বেগ তায়,
উথাল পাথাল দশ দিক মান
প্রবল বেগে ধায়।প্রবল বেগে ধায়।
প্রবল বেগে ধায়।


“স্বপ্নমহল”


টলমলো প্রাণ ঝিলমিলে আঁখ গোলমেলে কারবার,
গোবর হাসে গাবরা মুখে
ঘূটে পোড়ে বার-
বার।
টলমলো প্রাণ ঝিলমিলে আঁখ গোলমেলে কারবার।
গড়তে রে ওই স্বপ্ন মহল উড়তে আকাশ বাড়ি,
ছল চাতুরী বল শোষণে, ছলনার
কারবারী।
গড়তে রে ওই সাত মহলা মানবতায় দারি।
মানবতায় দারি।
কী হবে রে ভবের দেশে ঝিলমিলে আঁখ মেলে,
কী হবে রে সাত মহলায় স্বপ্নমধুর
খেলে।
রঙ্গ তোর ওই ঘূটার দেশে জ্বলতে রে হৃদ প্রাণ,
রবের দেশে টান দেবে সে
গাইবে রে যম
গান।গাইবে রে যম গান।
রইবে না কেউ আপন তোর গাইবে না কেউ গান,
ভস্ম হ'বি পঞ্চভূতে-
নরক যাবে
প্রাণ।
আহা! আহা! জ্বলবি রে তুই দিন রাত্তির নরক শত ফাঁদে,
মুক্তি! ওরে নাই মুক্তি আঁধার তমা;
খল সে অপ-
রাধে।


“শ্রোতা”


মা ছিল মোর একলা শ্রোতা যখন ছিলাম খোকা,
পদ্য লিখে দৌড়ে ছুটে
মা'য়ের পানে
দেখা।
উজ্জ্বল মুখ হয় সে খোকা বলতে তিনি, 'ভালো',
পড়ায় ফাঁকে লিখতো খোকা
জ্বালিয়ে প্রাণের
আলো।
হাসতে খোকা বাড়লো আগে তর তর তর বেগে,
কাল সে দিশা পার করে সে
প্রনয় প্রাণে
জাগে।
বন্ধনেতে বাঁধলো খোকা সংসারেতে গতি,
হাজার দুখের প্রবল বানে
হারিয়ে গেল
মতি।
কাব্যগাঁথা দূর সরে যায় ভব সাগরের টান,
কাঁদতে খোকা হৃদ মনেতে
চোরা স্রোতের
বান।
কাল সাগরে ডুব সাঁতারে পুনঃ সে হয় খোকা,
মা'যে শিয়র থান সে রহে
কাব্যেতে পাই
দেখা।