“হে বীর”


হে বীর তুমি,"নাইট",ছুড়িয়া দিলে ফেলে,
জালিয়ানাবাগে রক্ত সোপান
তলে।
হে বীর তুমি, "নাইট", ছুড়িয়া দিলে ফেলে।
সুমধুর সুললিত ধারা-বহিতে ভুবন
দশদিশা জ্বেলে আলো,
ধরনীর তল জাগিল ঊষাতে
বাসিতে তোমায়
ভালো।
আজিকে ধরায় রক্তের বান
চৌদিকে তমা-নিশা,
দাওগো ঠাকুর লেখনীতে মম
জাগাতে প্রাণের
আশা।
রুক্ষ মেদিনী রুক্ষ মসিতে
আধুনাতে নাই সুর,
বাজে না ঢঙ্কা সঙ্গীত সুধা
আজিকে সু-
মধুর।
দাও গো ঠাকুর দীপ জ্বেলে দাও
দিগন্তে মিলি প্রাণ,
দিকে দিকে ফেলাইতে ঝড়
গাহিতে মানবো
গান।


“মূর্দাবাদ”


বিচ্ছিন্নতাবাদ নিপাত যাক স্লোগান তোল রব,
মদতদাতা তার পেছনে
বলো মূর্দাবাদ।
ভাবনা জালিম জাল বিছানো শব্দ মাধুকরি,
মা'গো তোমার ভয় নেই মা
রক্ত নেব তারি।
জ্বালিয়ে দেব জালিম যারা অগ্নি জ্বালি শিখা,
আর পণেতে মুষ্টি ধরি, প্রাণ সে
হাতে রাখা।
গুঁড়িয়ে দেব সে হাত কালো, বল সে মোদের মা,
সাত জনমেও বলছি মাগো, করবো না মা
ক্ষমা।
দেশবিরোধী স্লোগান যারা পুষ্টি করে মনে,
গুষ্টি মারি মা গো মা
ফেলবো শ্মশানে।  
ঝড় ঝঞ্ঝা বজ্র তূফান নাই পিছে চাই মা,
ভয় নেই গো,শান সে মোদের
তোমার উপমা।


“কথাকলি”
(অজ পাড়াগাঁয়ে রবিবারে হাট রাতে শেষ হয়ে যাবার পরের দৃশ্য কবি কল্পনায়)


তারপর চাঁদ ওঠে গগনেতে তারা ফোটে,
একতারা বাউলেতে, গান করে
ঘুরে পথে।
রসুইতে পাঁক ঘরে বঁধু তারা হাতা ধরে,
কালু মিঁয়া থলে নিয়ে, মাছ নিয়ে
ঘোরে ফেরে।
নদীয়ালী মাছ তার টাটকা ও জ্যান্ত,
কম দামে ফেরি করে
ঘুরে ঘুরে প্রান্ত।
প্রান্তরে প্রান্তরে কুপি শিখা ওঠে জ্বেলে,
ঘন রবে কচি কাঁচা, ফেরে ঘরে
কলোরোলে।
তারি খেয়ে ভোলা আলি খুব করে ঢোলাঢুলি,
মধুরেন শ্রাব্য সে-রঙ্গেতে
কথা কলি।
রাত বাড়ে নিশাচরে কুহক সে ডাকে ঝি ঝি,
সুর তোলে সপ্তমে, আর মোরে ভাজে
ভাজি।
গিলা ভুটি দিয়ে মাল-খায় যদু মধু রায়,
হাতাহাতি মারামারি, আর রাতি
বয়ে যায়।
ধীরে ধীরে নির-ঝুম শান্ত সে হয়ে যায়,
শীতলতা প্রীতিলতা শিথিলতা
প্রাণে বয়।