(কি বোর্ড খারাপ হয়ে যাবার কারণে কাল রাতে প্রকাশ দিতে পারি নাই, ক্ষমা করবেন)


“বোধিবৃক্ষ”


ভারতবর্ষ বিশ্বের এক নাম, ভরতবর্ষ বোধিবৃক্ষের এক নাম।
সনাতন দেশ ধর্মের বেশ-অযুত নিযুত শিখা
সাম্যের গান আর ধ্বনি তান
বক্ষে ভালোবাসা। বক্ষে ভালোবাসা।
অরূপ রতন করিতে যতন-ধর্ম মিলনমেলা,
আর আঁচলে পুষ্টির গান-
প্রেম সোহাগের দোলা। প্রেম সোহাগের দোলা।
বাজিয়ে বীণে গান গেয়ে যায়-বিহগ কলমতি,
আর যমুনা পদ্মার গান-কৃষ্ণা
সরস্বতী। কৃষ্ণা সরস্বতী।
তিস্তামাতা ছাপিয়ে দুকূল সৃষ্টিতে ভরপুর,
তাজমহলায় প্রেম বয়ে যায়
হৃদয় কোহিনুর।হৃদয় কোহিনুর।
উত্তরে বাস হিমালয়ে-ধন্য মাতা শির,
অযুত নিযুত লক্ষ কোটি;
জওয়ান-সে দেশ-বীর।জওয়ান-সে দেশ বীর।
বীর জওয়ান মুষ্টিতে প্রাণ-দেশের তরে তাজ,
হিমশৈল গিরি শিরায়-ধরতে দেশের
রাজ। বীর জওয়ান মুষ্টিতে প্রাণ-দেশের তরে তাজ,
হিমশৈল গিরি শিরায়-ধরতে দেশের রাজ।
মিলন সাগর দক্ষিনে গান সিন্ধু কণা বারি,
মানব প্রেমে সিক্ত সে জল
অশ্রু কণা তা'রি।অশ্রু কণা তা'রি।
হৃদয় নীলে লক্ষ তারা-আলোক হয়ে ফোটে
নির্ঝরে প্রাণ শীতল বায়ু-
মিষ্টি বঁধুর ঠোঁটে।
বাতাস গগন উদারতার-বেশ ধরা সে রাজ,
হাজার আঘাত সহনশীলে
বোধিবৃক্ষের সাজ।বোধিবৃক্ষের সাজ।
ভারতবর্ষ বিশ্বের এক নাম, ভরতবর্ষ বোধিবৃক্ষের এক নাম।
সনাতন দেশ ধর্মের বেশ-অযুত নিযুত শিখা
সাম্যের গান আর ধ্বনি তান
বক্ষে ভালোবাসা। বক্ষে ভালোবাসা।


(শিক্ষা্ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান শিক্ষকদের দ্বারা ছাত্রীর শ্লীলতাহানির ঘটনার পরিপেক্ষিতে এ লেখা)


“ক্ষমা”


মা'গো মা ও মামনী-কোথায় পাঠা-লি,
শিক্ষক তো নয় রে মাতে
হৃদয় কাঙালি।
বই ছেড়ে মা, ও'মা রে-আমায় ছুঁতে চায়,
দৃষ্টি সে তার প্রখর যেন
আমার শরীরটায়।
ও,মা কোথায় দিলি বল, ও'মা কোথায় দিলি বল।
জাপটে ধরে কথার ছলে-আদর করে মা,
ভাবখানি তার ছল ছলনার
ভয় করে শোন মা।
আর যাবনা সেথায় মা'গো-ভক্তিতে তুই র'লি,
শিক্ষক তার সম্মানেতে-হৃদ সে
বুঝালি।
আজ কাঙালি কাঁদতে রে মা তারই ছলনাতে,
সইতে নারি আর না রব
ভবের দুনিয়াতে।
আর মা তুই শাস্তি দিবি-ছাড়বি নে রে মা,
শিক্ষক তার সমাজ দূষণ
করবি নে মা
ক্ষমা।


“নৃত্য”


জলোরাশি ভালোবাসি অজয়ের ধারা,
কাশ বনে কূলে মাঝি
অতি মনোহরা।
রবি মামা দেয় হামা ঊষাভোরে নিত্য,
অজয়ের কলোরোলে-করে
মন নৃত্য।
রাতে শশী জ্বলে নেভে মেঘ তার আরপার,
তরঙ্গ জলোরাশি-ভালোবাসি
বার বার।
তারকার দেশে চলি উঁচুনিচু ঢেউ গুলি,
আর রবে ভাবাবেগে-গেয়ে চলি
কথাকলি।
অজয় সে জলোধারা তির তির চলে বয়ে,
মাঝি তার মল্লায়-বয়ে চলে
গান গেয়ে।
জেলে আর বরশিতে কচি কাঁচা মাছ ধরে,
জাল টেনে টোনাটুনি-মাছ নিয়ে
যায় ঘরে।
অজয় সে বুকে ধরি মাতামহী গরিমাতে,
জোড় করে ভক্তিতে-প্রণামেতে
প্রতি প্রাতে।