“নিলাম”


প্রকৌশলে সুনিপুনভাবে চোখের জলটা মুছে নিলাম
আমি কী পাগল সর্বসমক্ষে
ভাবনার করব নিলাম।
যে কথা বলছিলাম-একটা বিয়ের অনুষ্ঠান,
বস্তির বিয়ে আর জৌলুসে ভরা তার
শোভাযাত্রার প্রদর্শন।
ডি-জে সম্বলিত গাড়ি ঝলমলে লাইটের ফোয়ারা
তালে তালে উত্তেজক সঙ্গীত,
পিছে শ'খানেক ছেলে মেয়ে বউ এর
উদ্দাম নৃত্যগীত।
ধীরে ধীরে বস্তির পথ ধরে এগিয়ে চলে শোভাযাত্রা,
পথে দু'পাশে ভিড় করা মানুষ জনের
রকমফের কথাবার্ত্তা।
আনমনে ভাবনার তরঙ্গ ঢেউ খেলে যায় বুকে,
হৃদয় সরণি বেয়ে চোখটা
সজল হয়ে ওঠে।
ভাবছিলাম শত জীর্ণতা দুঃখের মাঝে একটা বিয়ের অনুষ্টান,
এদের কাছে একটা সৌভাগ্য, যা কি'না
স্বর্গের সুখের সমান।
প্রকৌশলে সুনিপুনভাবে চোখের জলটা মুছে নিলাম
আমি কী পাগল সর্বসমক্ষে
ভাবনার করব নিলাম।


“রাজ”


হৃদসাগরে স্বপ্ন ছিল গুপ্ত ছিল রাজ,
সুখসাগরে ভাসতে রে সই
ধরতে প্রেমের সাঁজ।
ধরতে আকাশ উড়তে রে মন প্রাণ মিতালি গানে,
স্বপ্ন রঙিন জাল বুনেছি, দূর সে
আসমানে। দূর সে আসমানে।
আসমানী রঙ গুলাব আতর প্রেম সে ব্যাকুল অতি,
আর জ্যোছনায় খেলতে রে সই
দারুন মাতামাতি।দারুন মাতামাতি।
জীবন খাতায় প্রতি পাতায়-লিখতে তোর ওই নাম,
তুর রাধা সই প্রেমের ফাগুন
আমি ঘনশ্যাম।
ধরতে আকাশ উড়তে রে মন প্রাণ মিতালি গানে,
স্বপ্ন রঙিন জাল বুনেছি, দূর সে
আসমানে।দূর সে আসমানে।
সব পেয়েছি পেলাম না'রে-তোর ডোরেতে বাঁধতে বাহু,
কাঁদতে পরান জীবন খাতে, বইতে রে সই
অশ্রু লহু। অশ্রু লহু।অশ্রু লহু।অশ্রু লহু।
হৃদসাগরে স্বপ্ন ছিল গুপ্ত ছিল রাজ
সুখসাগরে ভাসতে রে সই
ধরতে প্রেমের সাঁজ।

“কারিগরি”


(আজ না হলেও একদিন এভাবে নিমেষেই ট্রাভেল করা যাবে গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে, নাথিং ইজ ইমপসিবল. প্রসঙ্গতঃ এ আইডিয়া আমার স্বপ্নে পাওয়া, স্বপ্নে আমি চাঁদে ঘুরে এসেছি, সেখানকার রুপালি পাহার, বেলাভূমি যেন চোখে লেগে আছ্রে।)


আমার কাছে নিমেষেই দূরত্ব অতিক্রম করবার পন্থা আছে,
সে দূরত্ব কয়েক আলোকবর্ষই হোক না কেন।
বিশ্বাস না হয় তো শুনে নাও
কারিগরি।
ধর আমি মঙ্গল গ্রহে যাব আজই এই মু্হুর্তেই।
আমার মহাকাশযান আট মাসে সেখানে পৌছায়।
টাইম মেশিনে চলে যাব আট মাস
পেছনে।
সেদিন সেখান থেকে ছাড়বে আমার মহাকাশযান।
আবার ফিরে আসব আজকের এই মু্হুর্তটাতে।
ততক্ষনে আমার যান পৌছে গেছে মঙ্গলে।
শুধু টাইম মেশিনটা বানাতে দাও
আমায়।