“অধম”


সত্যই আমারা চির অধম জায়া সে অনল লিপি,
হস্ত রুধিত মা যে ঢুলিতে
করুণ মর্মগীতি।
দূর চলে যাই ভুলতে চলি তার সে অবদান,
পঙ্কে ডুবি আর প্রাণেতে, নাই সে
মা'য়ের গান।
হস্ত তাহার সদাই মাথে প্রেম ধরা সুহৃদ,
ভুলতে চলি নাই যে ধরায়
তার বাড়া নাই হৃদ।
মর্ম ব্যথায় প্রাণ কেঁদে যায় পল ভর মা দেয়নি সুখ,
ঘূর্ণি ঝড়ে সংসারেতে, দিতেই শত
হাজার দুখ।
দাওনি গো তো শাপ সম্পত দাওনি তো মা গাল,
দু'চোখ ধারা কপোল বহে
আর লহুতে ভাল।
মা'গো আজি মাগতে চলি তোমার করুণা,
দাও না মাগো দু,চার গাল
করিও না মা ক্ষমা।


“শূন্য হস্ত”


যুগে যুগে কালে কালে সব কিছুই বদলে যায়,
যায় না শুধু মা, কারণ তিনি যে
উপমা।
সন্তান কু হয়, মা হয় না।
তিনি সৃষ্টি তিনি দৃষ্টি তিনি ত্রিলোকের স্বামী
হীরে নয় মুক্তো নয়-কিছুই যে নেই
তার চেয়ে দামী।
দর দামে নয় প্রেম ভালোবাসা তার আশ,
মা ভূবন মা পবন স্বর্ণালোকের দেশে
তার বসবাস।
প্রেম পিয়াসী আমি পেয়েছি অন্তর ভালোবাসা রাশি,
দুঃখের দেশে অবাধে তারা যে
দূরেতে গিয়াছে ভাসি।
পারিনি কিছুই শূন্য হস্ত প্রতিদানে শুধু দুখ,
তবুও সে-প্রেম সে দেশেতে
জপিতে আমারি সুখ।
যুগে যুগে কালে কালে সব কিছুই বদলে যায়,
যায় না শুধু মা, কারণ তিনি যে
উপমা।
সন্তান কু হয়, মা হয়-
না।


“জপ”


জয় জয় মাতে-শুভ আজি প্রাতে,
জয়োগানে ধরি তান
জননীর সুধা গান।
জল ঝর বৃষ্টিতে, জলধীর সৃষ্টিতে,
জমিনেতে আসমানে
জোড় করে জপি
মনে।
জয়ো জয়ো মাতে-শুভ আজি প্রাতে,
জল ফেলো নাগো মা'কো
জানি দিছি দুখ শত।
জটাজালে লিপ্ত সংসারে নিত্য,
জলসায় সাজঘরে-করে দুখ
নৃত্য।
জয়োগান ধরি হৃদে ব্যক্ত মা করি নি'যে,
জল ঝর বৃষ্টিতে, জলধীর সৃষ্টিতে
জমিনেতে আসমানে
জোড় করে জপি
মনে।