Sanjay Karmakar
badge icon
Founding Members
  · tJuSst msgpmoanrsonntoraedw  ·
যুগল রম্য রচনা,"গ্যাঙর গ্যাঙ"


সুদীপ্ত বিশ্বাসঃ-


ব্যাংককে পা দিয়েই ব্যাঙের লাগলো ভীষণ সর্দি
দেশ বিদেশে খবর গেল এল ডাক্তার বদ্যি।
কী হয়! কী হ্য়! ব্যাঙ মহাশয় অনেক বড়লোক
বেঘোরে প্রাণ গেল বলেই করতে থাকেন শোক।
সেই আধুলি এত্ত দিনে সুদ আসলে বেড়ে
টাকার পাহাড় যায় বা বুঝি এভারেষ্টকে ছেড়ে!
মস্ত মানুষ ব্যাঙ মহাশয় দেশ ভ্রমণে এসে
নাকের জলে চোখের জলে গেলেন বুঝি ফেঁসে।
দেশের বাড়ি খবর গেল ব্যাঙের অন্তঃপুরে
ব্যাঙ বৌতো খবর শুনেই কান্না দিল জুড়ে।
ডাক্তারেরা হাজির হল ফেলে হাজার কাজ
এল অনেক এম ডি এম এস, অনেক কবিরাজ।
গুগল ঘেঁটে অনেক খুঁজে সব ডাক্তার বদ্যি
পায়না খুঁজে সারবে কীসে হলে ব্যাঙের সর্দি।
দিনেদিনে আরও কাহিল আমাদের ব্যাঙ ভায়া
ডাক্তারেরা বিদায় নিতেই নামল শোকের ছায়া।


তারপরে এক ফকির এল শান্তসৌম্য মূর্তি
গরীব তবু শুধুই হাসে, মনে দারুন ফুর্তি!
প্রাণ যায় যায় ব্যাঙ মহাশয় যাচ্ছে শুধু কেশে
নাড়ির গতি মেপে দেখে বলল ফকির হেসে,
রোগের প্রকোপ বেড়েই চলে যখন বাড়ে টাকা
মিছিমিছি রোগ না হলেও হয় ডাক্তার ডাকা।
এক্ষুণি তাই ব্যাঙ মহাশয় বাঁচতে যদি চাও
জমানো ওই টাকার পাহাড় সব বিলিয়ে দাও।


সঞ্জয় কর্মকারঃ-
.
যেই শুনেছে তেমন বাক লাফিয়ে উঠে ব্যাঙ
ঝাঁকিয়ে গলা রাত দুপুরে ধরলো গাঙর গ্যাঙ।
বাদ্যি বাজে বদ্যি মশাই হলেন কুপোকাত
চিন্তা তার ঐ কপাল ভুরু কুঁচকে সে দিন রাত।
লাফ লাফানি ব্যাঙের শুরু বল্ল হেঁকে রবে
বলছে কি সব আন রে তারে রইবে না আর ভবে।
সর্দি তার ওই ফর্দি শুনি ব্যথায় তার ওই মন
চিন্তা জাগে জাত তো কঠিন জিতবে কি না রণ!
বজ্র তড়িৎ তারাও ভারি গুপ্ত স্থানই খোঁজে
পারবে না ঘাত করতে আঘাত সে বাত তারা বোঝে।
এক ফুঁকেতে সর্দি ব্যাঙের হটাত হলো দূর
লাফ দিল সেই হেব্বি দাদা ও পার সমুদ্দুর।