“হেঁইয়ো”


সুখ দুখ লহরে লহরে; হইতেছে বহমান,
খাঁড়াতে দাঁড়ায়ে রইয়ো; কভু উঁচু কভু!
হো ও.........! মার টান মার
হেঁইয়ো!


ডুবে ডুবে নীড়;  আঁখি নিমীলিত! সূর্যের পানে চাহিও;


রাত সুনিবিড় ঘন ছায়াদির, ঘনঘটা বহে প্রাণ,
নিশীথে ডুবায়ে রাতি, ধরা বেদনার গানে
বইয়ো।
হেই মার টান
হেঁইয়ো।


যে জনে জানে নিশীথো বিহনে নাহিকো তপ্ত ধরা
সে জনে বহিতে ঝন্ধা সে প্রাণ, গাহিতে
মনোহরা। মার টান মার
হেঁইয়ো।


ডুবে ডুবে নীড়, আঁখি নিমীলিত
সূর্যের পানে
চাহিও।


“বেদনার ইতিকথা”


দুখের সে বায় বহিছে ভুবনে ডুবায়ে মানব অতা!
স্বত্তা সে দান; দখিনায় নাহি; বেদনার
ইতিকথা।


"কথা দাও”
(সম্পূর্ণ আর শেষ পর্ব)


কত কিছু মনে জাগে, উল্লাসে!
কত ব্যথা কত স্মৃতি মনে ভাসে
স্মৃতিতেই;
তুমি আমি, আমি তুমি; সেই কথা বড় ব্যথা
তরু তলে বিথিতেই।
আজ দূরে কেনো সরে গেলে তুমি বেদনাই
রিক্ততা খেলে যায়, বড় ব্যথা দিয়ে যায়
হৃদয়ের আঙিনায়।
সুখে থেক ভালো থেক, মন আর হৃদয়েতে;
তাই চায়।
বরাভয় দিতে পারি, দূরে থেকে যেতে পারি, জীবনেতে;
তবে জেন যেন পাই; তোমাকেই;
পরো সেই জন্মেতে।
কথা দাও , কথা দাও
কথা দাও।


জীবন তো দু পলের ই আগে পিছে যেতে হবে; সহসাই
হাসি মুখে মেনে নিতে জীবনেতে প্রেম প্রীতে
মধুরেন সঙ্গীতে চলি তাই।
ব্যথা নাই ব্যথা নাই ব্যথা নাই।
বিধাতার বেঁধে দেওয়া গণ্ডিতে চলা ফেরা; করাটাই
কেঁদে কেটে কী বা হবে, নীরবেতে কী বা রবে
নাই তাই।
ভালোবেসে জীবনেতে হাসি গানে থাকি তাই।
ব্যথা নাই ব্যথা নাই ব্যথা নাই।
যদি ওগো কথা দিলে ব্যথা মোর হৃদে নিলে; ভাবনায়
উল্লাসে ধরা মেতে, হাসি গানে সঙ্গীতে
প্রশান্ত বলাকায়।
ডানা মিলে উড়ে যাই, ব্যথা ওগো ব্যথা নাই; কহি সই
মৃদঙ্গে সুর মিলে, ঝিলমিলে ঝিলমিলে
ব্রত মোর একটাই।
যেন পাই যেন পাই, তোমাকেই
পর সেই জন্মেতে, যেন পাই তোমাকেই!
কথা চাই কথা চাই
কথা চাই।


বরাভয় দিতে পারি, দূরে থেকে যেতে পারি, জীবনেতে;
তবে জেন যেন পাই; তোমাকেই;
পরো সেই জন্মেতে।
কথা দাও , কথা দাও
কথা দাও।


"গরল"


তপ্ত ধরা গরল বহে হিংসা দ্বেষ ও দ্রোহ
আপন আপন মগ্ন সবাই, আপন নহে কেহ।
জড়িয়ে লতা নাই তো শাখে
সরল তরল গরল ডাকে,
শকুন উকুন দাপিয়ে বেড়োয়, খুবলে যে খায় দেহ।


"ধাঁধা"


আলোক যদি লহর হয় আঁধার তবে কী!
ধাঁধা হলেও জানি লহর আঁধার যে হয় শক্তি।
বলবে তুমি পড়লে বাধা
কালো তমায় কষিয়ে রাঁধা,
আর কিছু নয় এর ওই বেশী,  বোলছো তুমি কী?


“নিধিরাম সর্দার”


নিধিরাম সর্দারে গত রাতে চুরি করে-
ঘর ঘর ঘর্ঘরে নিদ তার বেশ চড়ে;
ঘোক করে যেই নিছে বোতলটা
পেট ভরে।
সেই তার ওস্তাদি চুরি ধন বস্তাদি
সকালেতে সকলেতে ধরে তার ওস্তাদি।
বলে রাম কান্ড! কী প্রকাণ্ড!
নিত যদি সে যে ভায়
ফেটে যেত
ভান্ড।
বেশি কিছু বাত নয়, বস্তায় বস্তায়
বোমা ছিল তাজা তাজা ফাঁদ বাধা সস্তায়।
হোটেলেতে মলে ছিল মারতেই মানুষেতে
নিধিরামে ধরে দিল, মাঝ রাতে
মুলাকাতে।
চলো দেই মান তারে, সরকারে দরকারে
বীর তাকে মান দিল; কাগজেতে লেখা
উড়ে।