ইলেকট্রিক বিল দিতে গিয়েছিলাম। সেদিন প্রচণ্ড বড় লাইন, আমার আগে নাই নাই করে বিশ থেকে পঁচিশ জনা। মহিলা পুরুষদের একই লাইন। হটাত একজন বয়স্কা মহিলা প্রায় সত্তর বছর তো হবেই বা তার কিছু বেশিও হতে পারে। দেখলাম আমারও কয়েক জনের পিছে লাইনে দাঁড়াতে উদ্যোগী। আমার মুখ থেকে বেড়িয়ে গেল, "মাসিমা, আপনাকে লাইন দিতে হবে না, সামনে গিয়ে পাশ থেকে দিয়ে দিন"। কেউ প্রতিবাদ করল না। তিনি কাউন্টার এর সামনে গেলে আমি সামনের দিকের লোকগুলিকে রিকোয়েষ্ট করলাম এই বলে যে, উনি বয়স্কা মহিলা। ওনাকে একটু বিল টা দিয়ে দিতে দিন। সবাই নিরব সম্মতি প্রদান করলো আর তিনি সবার আগেই বিল জমা করে চলে গেলেন। ভাবছিলাম মনে মনে যে মানবতা এখনও সবার মাঝেই বর্তমান। দরকার শুধু কারুর দায়িত্ব নিয়ে উদ্যোগ নেবার। এর আগেও বহু ক্ষেত্রেই আমি এমন প্রমাণ বহুবার পেয়েছি। উদ্যোগটা আপনি আমি সবাই যদি নেই সমাজটা অনেক ভাল হতে পারে।


কে বলে নেই হারিয়ে গেছে, মানব তার ঐ হুশ
নীরব রহে অনেক সহে, তাই তো
তাদের দোষ।
গাইতে মানব বোধন গীতে এগিয়ে চলো আজ
গাইবে পাখি মধুর সুরে লাবন্যের
ওই সাজ।
ডালায় মালায় শক্ত বুনন সুঘ্রাণ করি চাষ
প্রশান্তির ওই বলয় মাঝে করতে
বসবাস।  


এমন অনেক ঘটনা প্রবাহ থেকেই কবিতার তরঙ্গে অনুরণিত হয় হৃদয়। তৈরি হয় কথামালা। এমন ঘটনাগুলি লিপিবদ্ধ করে রাখবার জন্য মাননীয় প্রিয় কবি অরিন্দম ঘোষ মহাশয় আলোচনা সভায় একটি প্রস্তাব রেখেছেন।


মাননীয় এডমিন মহাশয়ের কাছে আমার সর্নিবদ্ধ অনুরোধ , এই ব্যপারটি একটু ভেবে দেখবার জন্য।