আবার সেই দিলীপ বিশ্বাস মানে আমার বন্ধু। কোর্ট কাচারী দৌড় করে মাত্র বসেছি এর মধ্যে হাজির। বলে কটা কবিতা শোনা। আমি আজ একটা কবিতা লিখেছি এখনও প্রকাশ দি নাই। কবিতার নাম ফুচকার ঝাঁপি। ওকে শোনাতেই বলে এটার দুকপি বের করে দে আমি পয়সা দিয়ে দেব। দিলাম। বলে আর কটা শোনা। আমি আমার প্রকাশিত কবিতা, "অলংকার", হতচ্ছাড়া, বিরিয়ানি, লতিয়ে বেণী শোনাই। বলে সবকয়টার দুকপি করে বের করে দে। আমি বলি কী করবি? ও বলে আমার সংগ্রহে রেখে দেব, রাতে আমি অনেকের কবিতা পড়ি। ও নিজেও নাকি কবিতা লেখে। একটা শোনালোও। আমি বলি দাড়া তোকে একটা আমাদের আসরে একাউন্ট এখনই খুলে দিচ্ছি। লেখা নিয়ে আসিস , আমি টাইপ করে তোর নামে তোর একাউন্টে পোষ্ট করে দেব। উদ্যোগ নিতেই আসরের নিয়মের কথা খেয়াল পরে গেল। আমার পি সি থেকে তার একাউন্ট খোলা যাবে কীনা একটু ধন্দে পরে গেলাম তাই বললাম, শোন আমাকে আগে পারমিশন নিতে হবে। সে যাই হোক ডাবল চার্জ ধরে ওর থেকে পঞ্চাস টাকা নিয়ে নি। হাজার হোক কবিতা লিখে কামাই তো!