এই সেরেছে, কাঁদলি নাকী, সিক্ত নাকী তুলির টানে
অমন করে কাঁদিস নে মা, ভাসবো মোরা প্রবল
বানে।
তাই বলে কী হাসবি নাকী! আমার কথায় উচ্চ নাদে
কাঁপবে ভূতল, হাসিস নে মা পরবো যে মা
শক্ত ফাঁদে।
বৈঠা ঠেলে আসলে মা তুই; যায় ভেসে যায় ধরার তল
আসতে যেতে কাঁদাস কেনে, কেনেই মাগো
আজকে বল।
তুই এলে রে সবাই মাতে যাদের আছে অনেক সুখ
অশ্রু সজল হয় কেনে মা হার হাভাগা
যাদের দুখ।
নতুন জামা জুতোয় সবাই; মন্ডবেতে ঢাকের তালে
দীন দুঃখী আঁখ পেতে রয় এই দুনিয়ার
এলেবেলে।
ঈশ্বর মা! কেনেই তোকে; বলবো রে মা বলনা মোরে
তার কী সৃজন হয় কখনো, শরত এর ঐ উষার
ভোরে।
বিসর্যনের সুর বাজে না, অমর সে তো মায়ার মায়া
তোর তো আছে মাটির স্বরূপ, মস্ত বিশাল
দশটি কায়া।
তাইলে তুই কেনেই ভাবিস মায়ার মায়া মহামায়া
ধন্য রে তুই অসুর নাসী চাই নে তোর ঐ
একটু দয়া।
আমার মায়া মা যে আমার, হাতের কাছেই মাথায় ধরি
চিন্ময়ী মা ঘরেই আমার দিব্য তার ঐ
পূজা করি।