"জীবন রণ"
আমার জীবন ব্যথায় ভরা আগুন গনগন
সেসব নিয়েই ভালোই থাকি আমি সারাক্ষণ।
এক সাগরের হাবুডুবু
কারুর যেন হয় না প্রভু,
তবুও আমি রাজার রাজা; সাধছি জীবন রণ।
"বায়স যেমন হাল চাল"
এখন দাদা বয়স বেশি বায়স যেমন হাল চাল
বাজলে বেণু নাচবে রাধা! বাছবে কি আর ডাল চাল।
ডুগডুগির ঐ একতারাতে
ব্যথার বীণ ওই দিনে রাতে,
গ তে গোলাম গিন্নি বলে; ছাড়িয়ে দিবেই জিন্দা ছাল।
"হীরক দ্যুতি"
মরণ দ্বারে আসবে সবার হোক না সে মহান যতো
যদিও বা, নেই তো কায়া; তাও সে মহৎ অমর শতো।
দীপ্তি প্রভায় উজল তারা
হীরক দ্যুতি তাদের গড়া,
ধন্য সে প্রাণ হয় গো জেনো; নাই প্রদাহ নাই তো ক্ষতো।
"ভাঁড়"
আমার নামের পাশেও কদিন; জ্বলছিল বেশ স্টারের মতই
হটাত করে পাল্টে গেছে ভোল বদলে রাতের মতই।
ভাবছি আমি এসব কি
বোমা টোমার টেষ্ট নাকি!
দাঁত বুরুশের পেষ্ট কিবা মাজন টাজন ল্যাত প্যাতই।
কি আর হবে এসব দিয়ে বাড়বে কি আর লেখার মান!
স্টার ই থাকুক ভাঁড় ই থাকুক উড়বে লেখা আসমান?
রঙ্গ রসে আসর সেরা
এক্কেরে ভায় ডালের বড়া,
কূল রাখি না মান টি রাখি, চক্ষু মুদি দুইটি কান।
"মিষ্টি রসের বড়া"
সীতাহারের গল্প গাথা হয় নি বুঝি পড়া
নকল নয় আসল খাঁটি স্বর্ণ দিয়ে গড়া।
যেমনি দিবেন
তেমনি পাবেন,
মান ভেঙে রাঈ হবেই হবে মিষ্টি রসের বড়া।
"আরাধনা"
মেঘ আর বৃষ্টি অপরূপ সৃষ্টি অনুপমা
জীবনের প্রাণধন; বারি তারি সাধনা।
বজ্রের আলো রে
শুষে নেয় কালো রে,
কিশলয়ে কিশলয়ে চলে তারি আরাধনা।
"হুলো"
করোনার ধরণাতে মই দিছে মূলা ক্ষেতে
হুলো তার ম্যাও নাই সান গেছে মাথা হেটে।
হেঁচকিতে দম নাই
অসুদের কাম নাই,
হুলো তার ফুলো ভাব করোনাতে দিছে বেঁটে।
ছুঁ মন্তর দেখবি খেলা কদলী দিব বেঁটে
জাদু টোনার জালটি বোনার ল্যাজটি দিব কেটে।
পান্তা ভাতে ইলিশ চারা
ভস্ম পাবি হতচ্ছাড়া,
আকাশ থেকে ধপাস করে পড়বি লোহার নেটে।